সফল দাম্পত্য জীবনের জন্য স্বামী-স্ত্রীর গুণাবলীর মিল থাকা খুবই জরুরি, যা তাদের রাশিচক্রের সামঞ্জস্য দ্বারা নির্ধারিত হয়। হিন্দু ঐতিহ্য অনুসারে, বিবাহের আগে উভয় ব্যক্তির রাশিফল মিলিয়ে দেখা হয়, যেখানে ছেলে এবং মেয়ের গুণাগুণ মূল্যায়ন করা হয়। হিন্দু রীতি অনুযায়ী, প্রতিটি ব্যক্তির রাশিতে মোট ৩৬টি গুণ থাকে। এই ৩৬টি গুণ ছেলে এবং মেয়ের গুণাবলীর সাথে সম্পর্কিত, যেমন গুণ, তারা, ভাকুট, বৈশ্য, নাড়ি, যোনি ইত্যাদি। বিশ্বাস অনুসারে, ছেলে এবং মেয়ের যত বেশি গুণ মেলে, বিবাহ তত বেশি ভালো এবং শুভ বলে মনে করা হয়।
আজ আমরা একটি বিবাহিত জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় গুণের সংখ্যা নিয়ে আলোচনা করব।
সামঞ্জস্যতা মিলন
সফল দাম্পত্য জীবনের জন্য স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গুণের মিল থাকা খুবই জরুরি এবং এই গুণগুলি রাশিফল মিলানোর মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়। কোনো ব্যক্তির রাশিফল তার তারিখ, বছর, সময় এবং জন্মস্থানের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়। জন্মের সময় মহাজাগতিক বস্তুর অবস্থান পরীক্ষা করে রাশিফল তৈরি করা হয়। এরপর বিয়ের সময় ছেলে ও মেয়ের রাশিফল মিলিয়ে দেখা হয়। রাশিফল মেলানোর সময় প্রধানত ৮টি দিকের মিল বিবেচনা করা হয়, যা নিম্নরূপ:
গুণাবলী মিলানোর গুরুত্ব
রাশিতে এই সমস্ত দিক মিলিয়ে মোট ৩৬টি গুণ তৈরি হয়। ছেলে এবং মেয়ের যত বেশি গুণ মেলে, বিয়ে তত বেশি সফল বলে মনে করা হয়।
মাঙ্গলিক মিলন
যদি কারো রাশিতে জন্ম থেকে মাঙ্গলিক দোষ থাকে তবে তাকে মাঙ্গলিক দোষ হিসেবে ধরা হয়। রাশিফল মিলানোর সময় এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ছেলে বা মেয়ে উভয়ের মধ্যে যদি কারও রাশিতে মাঙ্গলিক দোষ থাকে, তাহলে জ্যোতিষীর সাহায্যে তা ভালোভাবে মিলিয়ে দেখা হয় এবং সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সাধারণত, যদি একজন ব্যক্তির মাঙ্গলিক দোষ থাকে এবং অন্যজনের না থাকে, তাহলে মাঙ্গলিক দোষের কারণে বিবাহ উপযুক্ত বলে মনে করা হয় না। যদিও, অনেক সময় কোনো ব্যক্তির মাঙ্গলিক দোষ অন্য ব্যক্তির রাশিতে গ্রহের অবস্থানের কারণে কমে যায়। বিবাহের জন্য কমপক্ষে ১৮টি গুণের প্রয়োজন।
যেমনটি আমরা আগে উল্লেখ করেছি, হিন্দু ধর্ম অনুসারে প্রতিটি ব্যক্তির রাশিতে মোট ৩৬টি গুণ থাকে। যে কোনও জুটির বিবাহের জন্য ছেলে এবং মেয়ের ৩৬টির মধ্যে কমপক্ষে ১৮টি গুণের মিল থাকা প্রয়োজন। যে বিয়েতে ছেলে ও মেয়ের কমপক্ষে ১৮টি গুণ মেলে না, তাকে অসফল বলে মনে করা হয় এবং দম্পতিকে তাদের দাম্পত্য জীবনে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বলা হয়ে থাকে যে, ১৮টির কম গুণ যুক্ত সম্পর্ক বেশি দিন টেকে না এবং ভেঙে যাওয়ারও ভয় থাকে।
৩২ থেকে ৩৬টি গুণের মিলন সর্বোত্তম বলে মনে করা হয়।
বিবাহের জন্য কমপক্ষে ১৮টি গুণের মিল আবশ্যক। ১৮ থেকে ২৫টি গুণের মিলন ভালো বলে মনে করা হয়। যেখানে ২৫ থেকে ৩২টি গুণ খুবই ভালো বলে মনে করা হয়। ২৫ থেকে ৩২টি গুণ যাদের মেলে তাদের দাম্পত্য জীবন বেশ ভালো কাটে এবং তাদের দাম্পত্য জীবনে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না। এই ধরনের মানুষের জীবন খুবই সুখের হয়। এছাড়াও, ৩২ থেকে ৩৬টি গুণ সর্বোত্তম বলে মনে করা হয়। যাদের রাশিতে ৩২ থেকে ৩৬টি গুণ মেলে তাদের দাম্পত্য জীবন খুব চমৎকার, সুখী ও সমৃদ্ধ হয়। যদিও, খুব কম লোকই বিয়ের জন্য ৩২ থেকে ৩৬টি গুণ মেলাতে পারে।
