মাঁ বিন্ধ্যবাসিনী ধাম: মাঁ বিন্ধ্যবাসিনীর সাথে ভগবান শিবের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এই সম্পর্ক শুধু ভক্তির নয়, বরং সৃষ্টির সৃজনের সাথেও জড়িত। ধর্মীয় বিশ্বাস ও পুরাণে মাঁ বিন্ধ্যবাসিনীকে আদিশক্তি এবং সৃষ্টির রূপকারা দেবী বলা হয়েছে। আসুন জেনে নিই এই রহস্যময় সম্পর্ক ও অজানা কাহিনীর বিষয়ে।
মাঁ বিন্ধ্যবাসিনী সৃষ্টির রূপায়ণের জন্য ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং মহেশকে প্রকাশ করেছিলেন। তিনি এই তিন দেবতাকে বলেছিলেন যে তারা তাঁর বরণ করুক। ব্রহ্মা ও বিষ্ণু বিনয়ের সাথে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, কিন্তু ভগবান শিব একটি বিশেষ শর্ত সাপেক্ষে বরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। শিব মা কাছে তাঁর তৃতীয় নয়ন চেয়েছিলেন, যা ধ্বংসাত্মক এবং অপ্রত্যাশিত শক্তিতে পরিপূর্ণ ছিল।
তৃতীয় নয়নের শক্তি এবং মার ভস্ম হওয়া
ভগবান শিব মা বিন্ধ্যবাসিনী থেকে তৃতীয় নয়ন পেয়েছিলেন, কিন্তু যখন তিনি তা খুলেছিলেন, তখন মা ভস্ম হয়ে গেছেন। যদিও, এটি শুধুমাত্র একটি অনুভূতি ছিল, যার ফলে ভগবান শিব ধ্বংস ও সৃষ্টির গভীর অনুভূতি লাভ করেছিলেন। মার এই ভস্ম রূপ থেকে ভগবান শিব তিনটি পিণ্ডী তৈরি করেছিলেন, যার ফলে মা মহালক্ষ্মী, মা মহাকালী এবং মা মহাশক্তির আবির্ভাব ঘটেছিল। আজও এই তিন রূপ ভক্তদের কল্যাণ করছে।
মাঁ বিন্ধ্যবাসিনী ধামের মান্যতা
বলা হয় যে মার স্নানের জল যে কুণ্ডে যায়, সেখানেই ব্রহ্মা ও বিষ্ণুর পিণ্ডী অবস্থিত। এই স্থান বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ ব্রহ্মা ও বিষ্ণু মার সরাসরি দর্শন করার ক্ষমতা রাখেননি, তাই পিছন থেকে দর্শন করার চেষ্টা করেছিলেন। মার চরণের নিচে পড়ে তারা পিণ্ডে পরিণত হয়েছিল এবং আজও এই দিব্য স্থান আস্থার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে রয়েছে।
আস্থা ও মান্যতার প্রতীক
মাঁ বিন্ধ্যবাসিনী এবং ভগবান শিবের এই সম্পর্ক ভক্তদের জন্য গভীর আস্থার প্রতীক। এই কথামালা থেকে এই বার্তাও পাওয়া যায় যে সৃষ্টির রচনা ও ধ্বংস উভয়ই আদিশক্তির ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল।