নাসা চন্দ্রপৃষ্ঠে প্রথমবারের জন্য জিপিএস সিগন্যাল ট্র্যাক করল

নাসা চন্দ্রপৃষ্ঠে প্রথমবারের জন্য জিপিএস সিগন্যাল ট্র্যাক করল
সর্বশেষ আপডেট: 06-03-2025

নাসা চন্দ্রপৃষ্ঠে প্রথমবারের মতো জিপিএস সিগন্যাল গ্রহণ ও ট্র্যাক করে মহাকাশ অন্বেষণে নতুন এক ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। এই সাফল্য অর্জিত হয় ৩ মার্চ।

ওয়াশিংটন: নাসা চন্দ্রপৃষ্ঠে প্রথমবারের মতো জিপিএস সিগন্যাল গ্রহণ ও ট্র্যাক করে মহাকাশ অন্বেষণে নতুন এক ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। ৩ মার্চ লুনার জিএনএসএস রিসিভার এক্সপেরিমেন্ট (LuGRE) চন্দ্রপৃষ্ঠে গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম (GNSS) সিগন্যাল সফলভাবে শনাক্ত করার মাধ্যমে এই সাফল্য অর্জিত হয়। এই ঐতিহাসিক সাফল্য অর্জনে নাসা ও ইতালীয় মহাকাশ সংস্থা (ASI) যৌথভাবে কাজ করেছে।

এই সিস্টেম কীভাবে কাজ করবে?

GNSS সিগন্যাল সাধারণত পৃথিবীর পৃষ্ঠে নেভিগেশন, অবস্থান নির্ণয় এবং সময় নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয়। এখন, নাসা এই একই সিগন্যালগুলিকে চাঁদে ট্র্যাক করে প্রমাণ করেছে যে ভবিষ্যতে মহাকাশচারীরাও চাঁদে জিপিএস এর মতো সুবিধা পেতে পারবেন। এই প্রযুক্তির সাহায্যে আর্টেমিস মিশনের মহাকাশচারীরা চন্দ্রপৃষ্ঠে তাদের অবস্থান, চলাচল এবং সময়ের সঠিক তথ্য পেতে পারবেন।

LuGRE কীভাবে চাঁদে পৌঁছেছে?

ফায়ারফ্লাই অ্যারোস্পেসের ব্লু ঘোস্ট চন্দ্র ল্যান্ডারের মাধ্যমে LuGRE চাঁদে পৌঁছেছে, যা ২ মার্চ সফলভাবে অবতরণ করেছে। এটি নাসার ১০ টি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি নিয়ে গিয়েছিল, যার মধ্যে LuGRE অন্যতম। অবতরণের পরপরই, নাসার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টার (মেরিল্যান্ড)-এর বিজ্ঞানীরা এই পেলোড সক্রিয় করে তাদের প্রথম বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা শুরু করে।

চাঁদ থেকে জিপিএস ডেটা

LuGRE পৃথিবী থেকে প্রায় ২.২৫ লক্ষ মাইল দূরে প্রথম GNSS সিগন্যাল শনাক্ত করে একটি ঐতিহাসিক সাফল্য অর্জন করেছে। এই রিসিভার পরবর্তী ১৪ দিন ধরে চাঁদে জিপিএস ডেটা ট্র্যাক করবে, যাতে এই প্রযুক্তির ব্যবহারযোগ্যতা পরীক্ষা করা যায়। এই পরীক্ষার সাফল্য ভবিষ্যতে চাঁদে মানুষের কার্যকলাপকে আরও নিরাপদ ও সহজ করার দিকে একটি বড় ধাপ।

এখন মহাকাশচারীরা কোনো অতিরিক্ত মাটির সহায়তা ছাড়াই তাদের অবস্থান নির্ণয় করতে পারবেন, যার ফলে চন্দ্র মিশনের সাফল্যের হার বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও, এটি প্রথম ইতালীয় মহাকাশ হার্ডওয়্যার যা চাঁদে সফলভাবে কাজ করেছে, যা ইতালীয় মহাকাশ সংস্থার জন্যও একটি বড় সাফল্য।

Leave a comment