উত্তরাখণ্ডে ভারী বর্ফপাত ও বৃষ্টিতে শীতের তীব্রতা বেড়েছে, অনেক পথ বন্ধ। আবহাওয়া দপ্তর আজও বর্ফপাত ও হালকা বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে, হালদোয়ানীতে বৃষ্টির ফলে ঠান্ডা অনুভূত হয়েছে।
আবহাওয়ার আপডেট: উত্তরাখণ্ডে আবহাওয়া পরিবর্তন হয়েছে, যার ফলে পাহাড়ে পরিস্থিতি কঠিন হয়ে উঠেছে। চারধাম সহ অনেক উঁচু এলাকায় ভারী বর্ফপাত হয়েছে, যার ফলে গঙ্গোত্রী, বদ্রীনাথ হাইওয়ে সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ পথ অবরুদ্ধ হয়ে গেছে। নিচু এলাকায়ও তীব্র বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যার ফলে তাপমাত্রা কমেছে এবং শীতের প্রভাব বেড়েছে।
নিচু এলাকায়ও বৃষ্টি
রবিবার রাজ্যের বেশিরভাগ এলাকায় আবহাওয়া খারাপ ছিল। হালদোয়ানীতে বৃষ্টি এবং ঠান্ডা বাতাসের কারণে ঠান্ডা অনুভূত হয়েছে। অন্যদিকে, পর্বতীয় অঞ্চলে ক্রমাগত বর্ফপাতের ফলে অনেক গ্রাম প্রভাবিত হয়েছে।
চীন সীমান্তবর্তী এলাকায় পথ বন্ধ
কুমাউঁয়ের উঁচু এলাকায়ও প্রচুর বর্ফপাত রেকর্ড করা হয়েছে। চীন সীমান্তবর্তী এলাকায় সড়কপথ বন্ধ হয়ে গেছে, যার ফলে গ্রামবাসীদের অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ-পানির সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে, এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অভাব দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের মতে, পাহাড়ে বর্ফপাতের ধারাবাহিকতা এখনও অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়া দপ্তর ইয়েলো অ্যালার্ট জারি করেছে
আবহাওয়া দপ্তর শীর্ষে ভারী বর্ফপাত নিয়ে ইয়েলো অ্যালার্ট জারি করেছে। নিচু এলাকায়ও হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি, তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে নিচে থাকতে পারে, যার ফলে শীতের প্রভাব আরও বেশি অনুভূত হবে।
নীতি-মলারী হাইওয়ে বর্ফপাতে বন্ধ
চমোলি জেলায় আউলি, বদ্রীনাথ, হেমকুণ্ড সহ অনেক উঁচু এলাকায় ভারী বর্ফপাত হয়েছে, যার ফলে নীতি-মলারী হাইওয়ে সহ অনেক পথ অবরুদ্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে ১২টির বেশি গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। গঙ্গোত্রী পথও সুক্কি টপের কাছে বন্ধ হয়ে গেছে, যার ফলে চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে।
কেদারনাথ এবং অন্যান্য শৃঙ্গেও বর্ফপাত
কেদারনাথ, মদমহেশ্বর, তুঙ্গনাথ, কর্তিক স্বামী এবং চন্দ্রশীলা যেসব গুরুত্বপূর্ণ শৃঙ্গ রয়েছে সেখানেও ভারী বর্ফপাত হয়েছে। পিথোরাগড় জেলায় মুনসিয়ারী-ধাপা-মিলাম পথও ধ্বসের কারণে অবরুদ্ধ হয়ে গেছে। তাওয়াঘাট-লিপুলেখ পথে ছিয়ালেক থেকে লিপুলেখ পর্যন্ত ভারী বর্ফপাত হয়েছে, যার ফলে এলাকায় ভ্রমণ করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।