ঝারখণ্ডে তীব্র তাপমাত্রায় কষ্ট পাওয়া মানুষদের শীঘ্রই কিছুটা স্বস্তি মিলবে, তবে এই স্বস্তি সাথে সাথে কিছু বিপদও নিয়ে আসছে। আবহাওয়া দপ্তর রাজ্যের সাতটি জেলায় ২৭শে এপ্রিল থেকে ৭২ ঘণ্টা ধরে ক্রমাগত বৃষ্টিপাত, প্রবল বাতাস, শিলাবৃষ্টি এবং বজ্রপাতের সতর্কতা জারি করেছে।
আবহাওয়া আপডেট: ঝারখণ্ডে আবারও আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে চলেছে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, রাঁচিসহ আশপাশের এলাকায় শনিবার আংশিক মেঘলা থাকবে, তবে আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। রবিবার মেঘলা আকাশের সাথে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত এবং বজ্রপাতের সম্ভাবনা প্রকাশ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, রাজ্যের সাতটি জেলায় ২৮ এবং ২৯শে এপ্রিল সাধারণত মেঘলা আকাশ থাকবে এবং কিছু স্থানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। এছাড়াও, ৩০শে এপ্রিল এবং ১শে মে ঝারখণ্ডে আবহাওয়া একই রকম থাকবে, যেখানে মেঘলা আকাশ থাকবে এবং মাঝেমধ্যে বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
যেসব জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে
রাঁচির আবহাওয়াবিদ কেন্দ্রের মতে, রাঁচি, হাজারিবাগ, বোকারো, জামশেদপুর, রামগড়, খুঁটি এবং লোহারডাগা জেলায় ২৭শে এপ্রিল রাত থেকে ৩০শে এপ্রিল পর্যন্ত আবহাওয়া খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই জেলাগুলিতে বজ্রপাতের সাথে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা প্রকাশ করা হয়েছে। পাশাপাশি ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে প্রবল বাতাস বইতে পারে এবং অনেক এলাকায় শিলাবৃষ্টি হওয়ারও সতর্কতা দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যে জারি করা এই আবহাওয়া সতর্কতা বিবেচনা করে আবহাওয়া দপ্তর অরেঞ্জ সতর্কতা জারি করেছে, যা মানুষকে সতর্ক থাকার ইঙ্গিত দেয়। বিশেষ করে কৃষক এবং খোলা জায়গায় কাজ করা লোকদের সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
রাজধানী রাঁচিতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি, কিন্তু শীঘ্রই স্বস্তি আসবে
শুক্রবার রাঁচিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২.৩ ডিগ্রি বেশি। অন্যদিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২.২ ডিগ্রি ছিল, যা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা কম ছিল। সারাদিন প্রখর রোদের তাপে মানুষ অস্বস্তিতে ছিল, কিন্তু শনিবার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার রাজধানী এবং আশপাশের এলাকায় আংশিক মেঘলা থাকবে, যখন রবিবার থেকে বজ্রপাতের সাথে বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামী তিন দিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৫ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে, যার ফলে তাপমাত্রা থেকে স্বস্তি মিলবে।
ট্রফলাইন আবহাওয়ার অবনতির কারণ
আবহাওয়া দপ্তরের মতে, এই পরিবর্তনের কারণ বঙ্গোপসাগর থেকে সাব-হিমালয় পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১.৫ কিলোমিটার উপরে একটি ট্রফলাইন তৈরি হওয়া। এই ট্রফলাইন ঝারখণ্ডের উপর দিয়ে যাচ্ছে, যার ফলে রাজ্যের অনেক জেলায় আর্দ্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং পরিবেশ অস্থির হয়ে উঠেছে। আবহাওয়াবিদ অভিষেক আনন্দ-এর মতে, দক্ষিণ এবং উত্তর ঝারখণ্ডে গরম বাতাস বয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং আর্দ্রতাও বজায় থাকবে। এর সাথে সাথে কিছু এলাকায় প্রবল বাতাসের সাথে বজ্রপাত হতে পারে, যা জনজীবনে প্রভাব ফেলতে পারে।