দিল্লি-এনসিআরসহ উত্তর ভারতে আবহাওয়ার নতুনতম আপডেট

দিল্লি-এনসিআরসহ উত্তর ভারতে আবহাওয়ার নতুনতম আপডেট
সর্বশেষ আপডেট: 29-01-2025

দিল্লি-এনসিআর-এ আবহাওয়ার অবস্থা কিছুটা স্বস্তিদায়ক থাকবে। সকালে হালকা কুয়াশা পড়তে পারে, কিন্তু দিন বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে তীব্র রোদের প্রভাবে আবহাওয়ায় কিছু পরিবর্তন আসবে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৩ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত থাকতে পারে, যার ফলে শীতের অনুভূতি কমবে। তবে, সকাল ও সন্ধ্যার সময় হালকা শীত অনুভূত হতে পারে। আবহাওয়াবিদদের মতে, আগামী কয়েকদিন আবহাওয়ায় হালকা উত্থান-পতন থাকবে, কিন্তু তীব্র শীতের দিনগুলো এখন শেষ হয়ে গেছে।

হালকা বৃষ্টিপাত এবং শীতের বৃদ্ধি

আবহাওয়া দপ্তরের মতে, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে দিল্লি-এনসিআর এবং আশপাশের এলাকায় হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে। পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে এই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা প্রকাশ করা হচ্ছে, যার পরে শীতে কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বৃষ্টিপাতের পর দিল্লি ও আশপাশের এলাকায় তাপমাত্রা কমতে পারে এবং শীতের অনুভূতি বৃদ্ধি পেতে পারে।

কাশ্মীরে বর্ষণ ও হিমপাতের পূর্বাভাস

২৯ জানুয়ারি থেকে কাশ্মীরে বৃষ্টিপাত এবং হিমপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে, যার ফলে সেখানকার তাপমাত্রা বেশ কমতে পারে। শ্রীনগরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা -৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে গেছে এবং পাহালগাম সহ অন্যান্য এলাকায়ও তীব্র শীতের প্রভাব অব্যাহত রয়েছে। বর্ষণ ও হিমপাতের কারণে কাশ্মীরে আবহাওয়ায় কিছু পরিবর্তন দেখা যেতে পারে এবং তাপমাত্রা কমতে পারে। এই আবহাওয়ার অবস্থা পর্যটকদের জন্য কিছুটা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকায়।

রাজস্থানে শীতলহরের প্রকোপ অব্যাহত

রাজস্থানে শীতলহরের প্রভাব এখনও অব্যাহত রয়েছে। ফতেহপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে গেছে এবং সিকর, নাগৌর, করৌলি ও মাউন্ট আবু প্রভৃতি স্থানে তাপমাত্রা বেশ নিচুতে রয়েছে। রাজ্যে বর্তমানে আবহাওয়ায় কোন বড় পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই এবং শীতলহরের প্রভাব আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে।

হরিয়ানা ও পাঞ্জাবে শীতলহর ও কুয়াশার প্রভাব

হরিয়ানা ও পাঞ্জাবেও শীতল বাতাস এবং ঘন কুয়াশার প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে। চণ্ডীগড়, অমৃতসর, সিরসা, ভিবানি, গুরুগ্রাম প্রভৃতি স্থানে সকাল ও সন্ধ্যার সময় ঘন কুয়াশা পড়ে থাকে, যার ফলে দৃশ্যমানতা কমে যায় এবং রাস্তায় চলাচলে অসুবিধা হয়। আবহাওয়াবিদদের মতে, পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে এই এলাকায় হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও, তীব্র বাতাসের কারণে শীত আরও বাড়তে পারে, যা কৃষক এবং যাত্রীদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

কৃষি ও যানবাহনের উপর প্রভাব

শীতল বাতাস এবং কুয়াশার কারণে কৃষক ও যাত্রীদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হতে পারে। কৃষিকাজে বিলম্ব হতে পারে এবং রাস্তায় কুয়াশার কারণে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে পারে। বিশেষ করে সকাল ও সন্ধ্যার সময় কুয়াশার প্রভাব বেশি হতে পারে, যার ফলে রাস্তার দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। কৃষকদের তাদের ফসল রক্ষার জন্য সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

২৯ জানুয়ারী ২০২৫-এর আবহাওয়া দিল্লি-এনসিআর এবং আশপাশের এলাকার জন্য কিছুটা স্বস্তিদায়ক থাকবে। সকালে হালকা কুয়াশা এবং দুপুরে তীব্র রোদের মিশ্রণ থাকবে। তবে, ১ ফেব্রুয়ারী হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, যার ফলে শীত বৃদ্ধি পেতে পারে। রাজস্থান, হরিয়ানা, পাঞ্জাব এবং কাশ্মীরে শীতলহর এবং কুয়াশার প্রভাব অব্যাহত থাকবে এবং এই এলাকায় আবহাওয়ায় হালকা উত্থান-পতন দেখা যেতে পারে। কৃষক ও যাত্রীদের আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

Leave a comment