ইসরায়েলের হুতি-নিয়ন্ত্রিত বন্দর আক্রমণ: তীব্র ধ্বংসযজ্ঞ ও উত্তেজনা বৃদ্ধি

ইসরায়েলের হুতি-নিয়ন্ত্রিত বন্দর আক্রমণ: তীব্র ধ্বংসযজ্ঞ ও উত্তেজনা বৃদ্ধি
সর্বশেষ আপডেট: 17-05-2025

ইসরায়েলের হুতি-নিয়ন্ত্রিত বন্দরগুলিতে ব্যাপক আক্রমণ, তীব্র ধ্বংসযজ্ঞ

ইসরায়েলের ব্যাপক আক্রমণ: মধ্যপ্রাচ্যে আবারও উত্তেজনা চরমে। ইসরায়েল শুক্রবার ইয়েমেনের হুতি-নিয়ন্ত্রিত বন্দরগুলিতে ব্যাপক আকাশ থেকে আঘাত হানে। এই আক্রমণে হুদাইদাহ ও সালাইফ বন্দর ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইস্রাইল কাটজ এই আক্রমণের সত্যতা নিশ্চিত করে স্পষ্ট করে বলেছেন, যদি হুতি সংগঠন ইসরায়েলের উপর ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ অব্যাহত রাখে, তাহলে তাদের এবং তাদের নেতাদের গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে।

হুতি নেতা আব্দুল মালিক আল-হুতি ইসরায়েলের পরবর্তী লক্ষ্য

ইসরায়েল সতর্ক করে দিয়েছে যে, হুতি নেতা আব্দুল মালিক আল-হুতিকেও ঠিক গাজার হামাস নেতা মোহাম্মদ দেইফ এবং বৈরুতের হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহর মতোই লক্ষ্যবস্তু করা হবে।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাটজ বলেছেন, ইসরায়েল যেকোনো শত্রুর বিরুদ্ধে তার সম্পূর্ণ শক্তি ব্যবহার করবে এবং প্রয়োজন হলে ইয়েমেনেও হুতি ঘাঁটি ধ্বংস করার জন্য ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করবে।

নেতানিয়াহু ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কার্যকলাপের প্রশংসা করেছেন

প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ইসরায়েলের এই কার্যকলাপকে 'সফল ও নির্ণায়ক' বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, আমাদের পাইলটরা হুতি সন্ত্রাসীদের দুটি বৃহৎ ঘাঁটিতে সঠিক আঘাত হানে।

নেতানিয়াহু এও অভিযোগ করেছেন যে, হুতিরা মাত্র একটি পুতুল, আসল শক্তি তাদের পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা ইরান। তিনি বলেছেন, ইসরায়েলের নিরাপত্তার সাথে আপোষ করা হবে না এবং প্রয়োজন হলে হুতি এবং তাদের সমর্থক ইরানকে ভারী মূল্য দিতে হবে।

ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণের জোরালো জবাব দিয়েছে ইসরায়েল

এই আক্রমণটি আসলে বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের উপর হুতিদের দ্বারা নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্রের প্রতিক্রিয়া ছিল। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সেই ক্ষেপণাস্ত্রটিকে সফলভাবে আটকে ধ্বংস করে দেয়। হুতিরা গাজার ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে এই আক্রমণ চালিয়েছিল, যদিও তারা আমেরিকান জাহাজের উপর আক্রমণ থেকে এখনই দূরত্ব বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

বন্দরগুলিতে আক্রমণের ফলে উত্তেজনা বৃদ্ধি

হুতি নিয়ন্ত্রিত আল মাসিরাহ টিভি এবং স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন যে, হুদাইদাহ ও সালাইফ বন্দরগুলিতে এই আক্রমণে চারটি বড় বিস্ফোরণ ঘটেছে। ইসরায়েল এই বন্দরগুলিকে হুতিদের অস্ত্র সরবরাহ শৃঙ্খলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলে উল্লেখ করে এগুলিকে ধ্বংস করার দাবি করেছে।

এই কার্যকলাপের পর মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইসরায়েল ও হুতিদের মধ্যে এই সংঘাত আগামী দিনগুলিতে আরও তীব্র হতে পারে।

Leave a comment