ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি: বন্দীদের মুক্তি শুরু

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি: বন্দীদের মুক্তি শুরু
সর্বশেষ আপডেট: 16-01-2025

ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, গাজায় আটক বন্দী ও অপহৃতদের মুক্তি শুরু হবে। ১৫ মাসের যুদ্ধে এবার বিরতি পড়বে।

Israel-Hamas Ceasefire: দীর্ঘ সংঘর্ষের পর অবশেষে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। মঙ্গলবার হামাস এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির মাধ্যমে উভয় পক্ষ ১৫ মাস ধরে চলা যুদ্ধের অবসান ঘোষণা করেছে।

বন্দী ও অপহৃতদের মুক্তি শুরু হবে

চুক্তি অনুযায়ী, হামাস গাজায় আটক ইসরায়েলি নাগরিকদের মুক্তি দেবে। বিনিময়ে ইসরায়েল হামাসের ২৫০ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেবে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম পর্যায়ে হামাস ৩৩ জন বন্দীকে মুক্তি দেবে, যাদের মধ্যে ৫ জন নারী রয়েছেন। এর ১৫ দিন পর বাকি বন্দীদেরও মুক্তি দেওয়া হবে।

৭ অক্টোবর হামাস আক্রমণ চালিয়েছিল

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলের উপর ব্যাপক আক্রমণ চালিয়েছিল। এই আক্রমণে প্রায় ১২০০ জন নিহত এবং ২৫০ জনের বেশি অপহরণ করা হয়। এর প্রতিশোধে ইসরায়েল গাজায় আক্রমণ শুরু করে, যাতে এ পর্যন্ত ৪৬,০০০ এর বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।

আমেরিকান কর্মকর্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন

আমেরিকান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে। আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন এই ঐতিহাসিক চুক্তি সম্পর্কে শীঘ্রই বিবৃতি দেবেন। তিনি এটিকে অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার দিকে একটি বড় পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন।

চুক্তির প্রধান দিকগুলো

- হাজার হাজার উৎখাত গাজা বাসিন্দার তাদের বাড়িতে ফিরে যাওয়া নিশ্চিত করা হবে।

- ইসরায়েলে আটক শত শত ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে।

- হামাস কর্তৃক অপহৃত দর্শনার্থীদের ধাপে ধাপে মুক্তি দেওয়া হবে।

ট্রাম্প তথ্য দিয়েছেন

আমেরিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় এই চুক্তির তথ্য শেয়ার করেছেন। তিনি লিখেছেন, "আমরা মধ্যপ্রাচ্যে বন্দীদের মুক্তির জন্য একটি ঐতিহাসিক চুক্তি করেছি। সকল বন্দীদের অতিশীঘ্রই মুক্তি দেওয়া হবে।"

আইডিএফ অভিযানের নাম দিয়েছে

ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) বন্দীদের প্রত্যাবর্তনের এই অভিযানের নাম দিয়েছে 'উইংস অফ ফ্রিডম'। এই অভিযানের মাধ্যমে মুক্তি প্রক্রিয়া নিরাপদ ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করা হবে।

Leave a comment