ইসরাইলি হামলার পর ইরানের সেনাবাহিনীর পুনর্গঠন। আমির হাতেমিকে সেনাপ্রধান নিযুক্ত করা হয়েছে, অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদেও নতুন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
ইসরাইলি আক্রমণ: ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে একটি বড় ঘটনা ঘটেছে। ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বিমান হামলায় ইরানের অনেক শীর্ষ সামরিক কমান্ডার নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে সেনাপ্রধান এবং আইআরজিসির (IRGC) উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও রয়েছেন। এই হামলার পর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সৈয়দ আলী খামেনেই সেনাবাহিনীর শীর্ষ স্তরে বেশ কিছু নতুন নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন।
মেজর জেনারেল আমির হাতেমি সেনাবাহিনীর প্রধান কমান্ডার নিযুক্ত
ইরানের সরকারি সংবাদ সংস্থা ‘ইরনা’র মতে, মেজর জেনারেল আমির হাতেমিকে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সেনাবাহিনীর নতুন প্রধান কমান্ডার নিযুক্ত করা হয়েছে। হাতেমি ২০২৩ থেকে ২০২১ পর্যন্ত দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন এবং তাঁর সামরিক প্রশাসন ও কৌশলগত বিষয়ে ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে। খামেনেই তাঁর আদেশে হাতেমির নিষ্ঠা, কর্মদক্ষতা এবং নেতৃত্বের গুণাবলীর প্রশংসা করেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে হাতেমি সেনাবাহিনীতে বিপ্লবী ও পরিবর্তনমূলক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আসবেন।
সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান নিযুক্ত হয়েছেন মেজর জেনারেল সৈয়দ আব্দুল রহিম মোসাভি
ইসরায়েলের হামলায় সশস্ত্র বাহিনীর তৎকালীন প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ হোসেন বাঘেরির মৃত্যুর পর মেজর জেনারেল সৈয়দ আব্দুল রহিম মোসাভিকে নতুন চিফ অফ স্টাফ অফ আর্মড ফোর্সেস নিযুক্ত করা হয়েছে। খামেনেই তাঁর আদেশে মোসাভির নিষ্ঠাবান সেবা এবং ব্যাপক অভিজ্ঞতার প্রশংসা করেছেন। এই পদ ইরানের সামরিক কৌশল এবং জাতীয় সুরক্ষা নীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আইআরজিসির কমান্ড পেয়েছেন মেজর জেনারেল মোহাম্মদ পাকপুর
লেফটেন্যান্ট জেনারেল হোসেন সালামির মৃত্যুর পর ইরানের শক্তিশালী সেনাবাহিনীর শাখা ‘ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কোর’ (IRGC)-এর কমান্ড এখন মেজর জেনারেল মোহাম্মদ পাকপুরের কাছে ন্যস্ত হয়েছে। পাকপুর পূর্বেও আইআরজিসিতে উচ্চপদে কর্মরত ছিলেন এবং তাঁর কৌশলগত চিন্তাধারার প্রশংসা করা হয়েছে।
খামেনেই এক্স (পূর্বে টুইটার)-এ পোস্ট করে বলেছেন যে পাকপুরের সেবা এবং অভিজ্ঞতা অত্যন্ত মূল্যবান, এবং এই ধরনের সংকটকালে তাঁর নেতৃত্বে সেনাবাহিনী দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যাবে।
খাতাম আল-অনবিয়া সদর দপ্তর পেয়েছে নতুন কমান্ডার
এছাড়াও, ইসরাইলি হামলায় শহীদ হওয়া লেফটেন্যান্ট জেনারেল গোলাম আলী রশিদের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে মেজর জেনারেল আলী শাদমানিকে ‘খাতাম আল-অনবিয়া সেন্ট্রাল হেডকোয়ার্টারের’ নতুন কমান্ডার নিযুক্ত করা হয়েছে। এই সদর দপ্তর ইরানের সামরিক অভিযানের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র, যেখান থেকে দেশের প্রতিরক্ষা কৌশল পরিচালিত হয়।
