সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। কলেজিয়াম জাস্টিস কোটিশ্বর সিংহের নামের প্রস্তাব করে বলেছে যে, তাঁর শীর্ষ আদালতে নিয়োগের পর উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির প্রতিনিধিত্ব পাওয়া যাবে। উল্লেখ্য, কোটিশ্বর সিংহ মণিপুর থেকে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রথম ব্যক্তি।
নয়াদিল্লি: জম্মু-কাশ্মীর হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন. কোটিশ্বর সিংহ এবং মাদ্রাজ হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আর. মহাদেবন বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) একসাথে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন। বর্তমানে দেশের শীর্ষ আদালতে মুখ্য বিচারপতি সহ মোট ৩৪ জন বিচারপতি রয়েছেন। এছাড়াও, সুপ্রিম কোর্ট মণিপুর রাজ্য থেকে জাস্টিস এন. কোটিশ্বর সিংহকে প্রথম ও নতুন বিচারপতি হিসেবে পেয়েছে।
প্রধান বিচারপতি ডি. ওয়াই. চন্দ্রচূড় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উভয় বিচারপতিকে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন। জানা গেছে, জাস্টিস এএস বোপন্না এবং অনিরুদ্ধ বসের অবসর গ্রহণের পর দুটি পদ শূন্য হয়েছিল।
কলেজিয়ামের সরকারের কাছে প্রস্তাব
জানা গেছে, সুপ্রিম কোর্টের জাস্টিস হিমা কোহলি ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ এবং প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় ১০ নভেম্বর, ২০২৪ অবসর গ্রহণ করবেন। উল্লেখ্য, কেন্দ্র সরকার ১৬ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়াম কর্তৃক প্রদত্ত প্রস্তাবটি অনুমোদন করেছে। ১১ জুলাই কলেজিয়াম কেন্দ্রের কাছে কোটিশ্বর সিংহ এবং আর. মহাদেবনের নাম সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নির্বাচনের জন্য প্রস্তাব করেছিল।
সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়াম জাস্টিস কোটিশ্বর সিংহের নামের প্রস্তাব করে বলেছে যে, তাঁর শীর্ষ আদালতে নিয়োগের পর উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির প্রতিনিধিত্ব পাওয়া যাবে। তিনি মণিপুর থেকে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রথম ব্যক্তি হবেন।
২০১১ সালের অক্টোবরে গুয়াহাটি হাই কোর্ট থেকে আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু
জানা গেছে, জাস্টিস কোটিশ্বর সিংহকে ২০০১ সালের অক্টোবরে প্রথমবার গুয়াহাটি হাই কোর্টের বিচারপতি নিয়োগ করা হয়েছিল। পরে মণিপুর হাই কোর্ট গঠিত হলে তাঁকে সেখানে বদলি করা হয়। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারীতে তিনি জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। অন্যদিকে, জাস্টিস মহাদেবন তামিলনাড়ুর পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের অন্তর্গত, তাই তাঁর নিয়োগের ফলে (এসসি) বেঞ্চে বৈচিত্র্য বৃদ্ধি পাবে।