সম্ভলে ওয়াক্ফের জমি নিয়ে পুলিশ চৌকি নির্মাণের বিতর্ক তীব্রতর। আসাদুদ্দিন ওয়াইসি প্রমাণ উপস্থাপন করে তা অবৈধ বলে দাবি করেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী যোগীর উপর পরিবেশ নষ্ট করার অভিযোগ এনেছেন।
Asaduddin Owaisi On Sambhal Police Station: উত্তরপ্রদেশের সম্ভল জেলার জামা মসজিদের সামনে নির্মিত হচ্ছে এমন পুলিশ চৌকি নিয়ে বিতর্ক দিন দিন বাড়ছে। এই বিষয়ে অল ইন্ডিয়া মজলিস-এ-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম)-এর সভাপতি আসাদুদ্দিন ওয়াইসি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে কঠঘরায় দাঁড় করিয়েছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের উপর গুরুতর অভিযোগ আনেন এবং বলেন, এই নির্মাণ ওয়াক্ফের জমিতে হচ্ছে এবং এর উদ্দেশ্য পরিবেশ নষ্ট করা।
ওয়াইসি গুরুতর অভিযোগ আনেন
আসাদুদ্দিন ওয়াইসি মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪) সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম এক্স-এ একটি পোস্টে এই বিতর্কের বিষয়ে তার যুক্তি ও প্রমাণ উপস্থাপন করেন। তিনি লিখেছেন,
"সম্ভলের জামা মসজিদের পাশে যে পুলিশ চৌকি তৈরি হচ্ছে, তা ওয়াক্ফের জমিতে, যেমনটি রেকর্ডে উল্লেখ আছে। এছাড়াও, প্রাচীন স্মৃতিস্তম্ভ আইনের অধীনে সংরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভের কাছে নির্মাণ কাজ নিষিদ্ধ। নরেন্দ্র মোদী ও যোগী আদিত্যনাথ সম্ভলে বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য দায়ী।"
জমির কাগজপত্র দেখান- ওয়াইসি
ওয়াইসি তার কথা শক্তিশালী করার জন্য জমির নথিও প্রকাশ করেন। তিনি বলেন,
"এটি ওয়াক্ফ নম্বর ৩৯-এ, মুরাদাবাদ। এটি সেই জমির ওয়াক্ফনামা, যেখানে পুলিশ চৌকি নির্মাণ করা হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশ সরকারের আইনের কোনো সম্মান নেই।"
তার মতে, এই জমি ওয়াক্ফ বোর্ডের এবং তারপরেও এখানে নির্মাণ কাজ চলছে।
আইন কী বলে?
ওয়াইসি প্রাচীন স্মৃতিস্তম্ভ আইনের উল্লেখ করে বলেন যে সংরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভের কাছে যে কোনও ধরণের নির্মাণ কাজ নিষিদ্ধ। তিনি এও দাবি করেন যে সরকার এই আইন উপেক্ষা করছে।
বিতর্কে রাজনৈতিক বক্তব্য
এই বিতর্কের ফলে স্থানীয় পর্যায়েও হাঙ্গামা সৃষ্টি হয়েছে। অনেক সংগঠন সরকারের এই পদক্ষেপের প্রতিবাদ করেছে। তবে রাজ্য প্রশাসন এই বিষয়ে কোনও সরকারি প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
পরিবেশ নষ্ট করার অভিযোগ
আসাদুদ্দিন ওয়াইসি বলেন, এই ধরণের নির্মাণের ফলে সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে অবিলম্বে এই নির্মাণ কাজ বন্ধ করার এবং ওয়াক্ফ সম্পত্তির সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে যোগী সরকারের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি। প্রশাসন এই বিতর্ক সমাধানের জন্য কী পদক্ষেপ নেবে তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন সকলে।
