সিন্ধু জল চুক্তি বাতিলের পর ভারত জম্মু-কাশ্মীরের নদীগুলিতে বহু প্রকল্প শুরু করেছে। সম্প্রতি চিনাব নদীর উপর বগলীহার বাঁধ বন্ধ করা হয়েছে এবং এনএইচপিসি বাঁধ থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
নতুন দিল্লি/জম্মু-কাশ্মীর: সিন্ধু জল চুক্তি বাতিলের পর ভারত এখন সম্পূর্ণরূপে একশন মোডে চলে এসেছে। জম্মু-কাশ্মীরের প্রধান নদীগুলিতে ভারত আধা ডজনের বেশি হাইড্রোপাওয়ার প্রকল্প সক্রিয় করে দিয়েছে। সম্প্রতি চিনাব নদীতে নির্মিত বগলীহার বাঁধ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, এবং সরকারি সংস্থা এনএইচপিসি জলাধার থেকে বালু উত্তোলনের প্রক্রিয়াও শুরু করে দিয়েছে।
সিন্ধু চুক্তির সীমা শেষ
১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত সিন্ধু জল চুক্তির অধীনে ভারতকে সিন্ধু, চিনাব এবং জেহেলম নদীর প্রবাহ রোধ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। কিন্তু পালগাম সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ভারত এই চুক্তি বাতিল করে দেয়, যার ফলে ভারত এই নদীগুলিতে নির্মাণ ও নিয়ন্ত্রণের অধিকার পেয়েছে। এখন ভারত তার জল নীতি নতুন করে প্রয়োগ করছে।
বালু উত্তোলনের কাজ শুরু
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, এনএইচপিসি বৃহস্পতিবার থেকে জলাধার থেকে বালু উত্তোলনের কাজ শুরু করেছে। এই প্রক্রিয়া বাঁধের জল ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থিতিশীল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় বলে মনে করা হচ্ছে। এটি এই ইঙ্গিতও দেয় যে ভারত দীর্ঘদিন ধরে জল ধরে রেখে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে।
পাকিস্তানের ক্ষোভ
পাকিস্তান এটিকে গুরুতর সতর্কতা হিসেবে দেখছে। বগলীহার এবং সালাল বাঁধ থেকে অতিরিক্ত জল ছাড়ার ফলে পাকিস্তানের অনেক অংশে বন্যার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, বৃহস্পতিবার থেকে শনিবারের মধ্যে বাঁধ খালি করা হয়েছে, যার ফলে জলের তীব্র নির্গমন ঘটেছে।
কাশ্মীরে দ্রুত বর্ধমান প্রকল্প
ভারত এখন জম্মু-কাশ্মীরে হাইড্রোপাওয়ার নিয়ে আগ্রাসী নীতির উপর কাজ করছে। পূর্বে যেখানে বাঁধ নির্মাণ বা জল সংগ্রহের জন্য পাকিস্তানের সম্মতি প্রয়োজন ছিল, সেখানে এখন ভারত স্বাধীনভাবে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করছে। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সাথে সাথে জল নিরাপত্তার অবস্থাও শক্তিশালী হবে।