পহলগাম আক্রমণের পর ভারত অপারেশন সিন্দুর চালিয়ে বহু সন্ত্রাসবাদীকে নিধন করেছে। নিহত সন্ত্রাসবাদীদের জানাজায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেছিলেন, যার তথ্য ছবিসহ প্রকাশ করেছে ভারত।
অপারেশন সিন্দুর: কাশ্মীরের পহলগাম আক্রমণের পর পাকিস্তানকে কঠোর বার্তা দিতে ভারত "অপারেশন সিন্দুর" চালিয়েছে। এই সামরিক অভিযানে ভারত সীমান্ত পেরিয়ে লাস্কর-ই-তৈয়বা (LET), জইশ-ই-মোহাম্মদ (JeM) এবং হিজবুল মুজাহিদিনের মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের ঘাঁটিতে সরাসরি আক্রমণ করেছে। ভারতের এই নিখুঁত সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে নয়টি বড় সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে এবং বহু সন্ত্রাসবাদীকে নিধন করা হয়েছে।
মাসুদ আজহারের ভাইয়েরও মৃত্যু
ভারতীয় সেনাবাহিনীর মতে, এই অভিযানে জইশ-ই-মোহাম্মদের নেতা মাসুদ আজহারের ভাইও নিহত হয়েছেন। এই কার্যক্রমটি সম্পূর্ণ পরিকল্পনার সাথে করা হয়েছিল যাতে সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয়স্থল ধ্বংস করা যায়।
ভারত পাকিস্তানের মিথ্যাচার উন্মোচন করেছে
ভারত একটি সংবাদ সম্মেলনে বড় রকমের তথ্য প্রকাশ করেছে। অপারেশন সিন্দুরে নিহত সন্ত্রাসবাদীদের শেষকৃত্যে অংশগ্রহণকারী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের ছবি এবং নাম প্রকাশ করা হয়েছে। এই ছবিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা সন্ত্রাসবাদীদের জানাজায় অংশগ্রহণ করেছিলেন।
যাদের নাম ভারত উল্লেখ করেছে:
- লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়াজ হুসেন শাহ
- মেজর জেনারেল রাও ইমরান সরতাঝ
- ব্রিগেডিয়ার মোহাম্মদ ফুরকান শব্বির
- পাকিস্তান পুলিশ কর্মকর্তা উসমান আনোয়ার
- রাজনৈতিক নেতা মালিক সোহাইব আহমদ ভেরাথ
এই ছবিগুলি থেকে স্পষ্ট হয়েছে যে পাকিস্তান শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদীদের সমর্থন করে না, বরং পুরো পাকিস্তান সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে তাদের সম্মানে জানাজাও বের করা হয়।
কোন সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতে ভারতের আঘাত?
অপারেশন সিন্দুরের অধীনে ভারত এই ঘাঁটিগুলি ধ্বংস করেছে:
- মুরিদকে'র মরকজ তৈয়বা (লাস্কর-ই-তৈয়বার ঘাঁটি)
- বাহাওয়ালপুরের মরকজ সুবহানাল্লাহ (জইশ-ই-মোহাম্মদের ঘাঁটি)
- সিয়ালকোটে হিজবুল মুজাহিদিনের সুবিধা
- মুজফ্ফারাবাদের মরকজ সৈয়দনা বিলাল (জইশের বড় ঘাঁটি)
এই সকল ঘাঁটি সন্ত্রাসবাদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। বিশেষ করে মুরিদকে এবং বাহাওয়ালপুরের ঘাঁটিগুলি পাকিস্তানের ISI এবং পাক সেনাবাহিনী দীর্ঘদিন ধরে রক্ষা করে আসছিল। ভারত লক্ষ্যভেদী ক্ষেপণাস্ত্র এবং নিখুঁত আক্রমণের মাধ্যমে এগুলি ধ্বংস করেছে।
পাকিস্তানের ভান্ডামি উন্মোচিত
অপারেশন সিন্দুরের মাধ্যমে ভারত শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদীদেরই নিধন করেনি, বরং পাকিস্তানের ভান্ডামিও বিশ্বের সামনে উন্মোচন করেছে। পাকিস্তান বারবার দাবি করে আসছে যে তার সন্ত্রাসবাদের সাথে কোন সম্পর্ক নেই, কিন্তু ভারত প্রমাণসহ দেখিয়ে দিয়েছে যে কিভাবে পাক সেনাবাহিনী এবং সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের মধ্যে গভীর মিলিভোগতা রয়েছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর কঠোর বার্তা
অপারেশন সিন্দুরের মাধ্যমে ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে যে সে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যে কোনও পর্যন্ত গিয়ে কার্যক্রম চালানো থেকে বিরত থাকবে না। ভারতীয় সেনাবাহিনী আন্তর্জাতিক মঞ্চেও এই অভিযানকে দৃঢ়ভাবে উপস্থাপন করেছে, যার ফলে পাকিস্তানের সুনামের উপর গভীর প্রভাব পড়েছে।