মৃত্যুর পরেও চার জনকে জীবনদান, শান্তি দেবীর অঙ্গদানে অনুপ্রেরণা

মৃত্যুর পরেও চার জনকে জীবনদান, শান্তি দেবীর অঙ্গদানে অনুপ্রেরণা
সর্বশেষ আপডেট: 14-03-2025

রাজস্থানের বাড়মের জেলার ৫৮ বছর বয়সী শান্তি দেবী সোনি মৃত্যুর পরেও মানবতার পরিচয় দিয়ে চার জনকে জীবনদান করেছেন। জোধপুর এम्স-এ ব্রেইন ডেড ঘোষণা হওয়ার পর তাঁর পরিবার অঙ্গদানের বড় সিদ্ধান্ত নেয়, যার ফলে প্রয়োজনীয় রোগীদের নতুন জীবন পাওয়ার পথ সুগম হয়।

বাড়মের: রাজস্থানের বাড়মের জেলার ৫৮ বছর বয়সী শান্তি দেবী সোনি মৃত্যুর পরেও চার জনকে জীবনদান করে মানবতার অনন্য উদাহরণ স্থাপন করেছেন। ব্রেইন ডেড ঘোষণা হওয়ার পর পরিবার তাঁর অঙ্গদানের বড় সিদ্ধান্ত নেয়, যার ফলে প্রয়োজনীয় রোগীরা নতুন জীবন পেয়েছে। বাড়মেরে স্বর্ণকার সমাজ তাঁর সম্মানে শ্রদ্ধাঞ্জলি সমাবেশ করে, এবং অনেক নেতা এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন। শান্তি দেবীর এই পদক্ষেপ সমাজের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে।

পরিবারের অনুকরণীয় সাহস

শান্তি দেবীর জামাই মুকেশ সোনি জানিয়েছেন যে, গত এক মাস ধরে তিনি ব্রেইন হেমরেজে ভুগছিলেন। প্রথমে বাড়মের এবং পরে জোধপুরে চিকিৎসার সময় ১০ দিন আগে চিকিৎসকরা তাঁকে ব্রেইন ডেড ঘোষণা করেন। তবে পরিবার আশা ছাড়েনি এবং সমাজ ও আত্মীয়-স্বজনদের সাথে পরামর্শ করে অঙ্গদানের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়।

সমাজের শ্রদ্ধাঞ্জলি সমাবেশ

বাড়মেরে পৌঁছানোর পর স্বর্ণকার সমাজের লোকেরা ফুলে সজ্জিত অ্যাম্বুলেন্সের স্বাগত জানায় এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানায়। সমগ্র সমাজে এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করা হচ্ছে, কারণ এটি রাজস্থানের স্বর্ণকার সমাজের প্রথম অঙ্গদান। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কৈলাশ চৌধুরী শান্তি দেবীর পরিবারের প্রশংসা করে বলেন, "অঙ্গদান করে তিনি মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এই কাজ সমাজের জন্য অনুপ্রেরণা হবে।"

শান্তি দেবীর অবদান অনুপ্রেরণার উৎস

শান্তি দেবী যদিও এই পৃথিবী থেকে চলে গেছেন, কিন্তু তাঁর অঙ্গ এখন চার জনের দেহে জীবিত থাকবে। তাঁর এই পবিত্র কাজ অঙ্গদানকে উৎসাহিত করার জন্য সমাজে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠবে।

Leave a comment