মোদীর জাতীয় উদ্দেশ্যে বক্তব্য: অপারেশন সিন্দুরের পর প্রতিক্রিয়া

মোদীর জাতীয় উদ্দেশ্যে বক্তব্য: অপারেশন সিন্দুরের পর প্রতিক্রিয়া
সর্বশেষ আপডেট: 12-05-2025

অপারেশন সিন্দুরের পর প্রধানমন্ত্রী মোদী আজ রাত ৮ টায় প্রথমবারের মতো জাতিকে উদ্দেশ্য করে বক্তব্য দেবেন। পাকিস্তানের সাথে সংঘাতবিরতির পর এই বক্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

PM মোদী সংবাদ: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ রাত ৮ টায় জাতিকে উদ্দেশ্য করে বক্তব্য দেবেন। ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অপারেশন সিন্দুর চালিয়ে ৯টি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি ধ্বংস করার পর এটিই তাঁর প্রথম আনুষ্ঠানিক বক্তব্য। দেশবাসী এই বক্তব্যের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতবিরতির পর প্রথম প্রতিক্রিয়া

ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সম্প্রতি একটি সংঘাতবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যেখানে উভয় দেশ স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে সামরিক আক্রমণ বন্ধ করার বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই বক্তব্য ওই সংঘাতবিরতির দুই দিন পর হচ্ছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে ভারত তাঁদের সামরিক অভিযানের পরেও শান্তি ও নিরাপত্তা উভয়ের প্রতিই দৃষ্টি রেখেছে।

অপারেশন সিন্দুরে ভারতের বৃহৎ সাফল্য

৭ই মে সকালে ভারতীয় সেনা পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (PoK) -এ ৯টি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে অপারেশন সিন্দুর শুরু করে। এই অভিযানে ১০০ জনের বেশি সন্ত্রাসবাদী নিহত হয় এবং পাকিস্তানি সেনার ৪০ জন সৈনিক নিহত হয়। অপারেশনের ফোকাস ছিল লস্কর-ই-তৈয়বা এবং জইশ-ই-মোহাম্মদ-এর মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিতে।

এটি ভারতের এযাবৎকালের সবচেয়ে নির্ভুল ও কার্যকর প্রতিক্রিয়া বলে মনে করা হচ্ছে, যা পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী নীতির উপর সরাসরি আঘাত হানে।

PM মোদীর উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ও কূটনৈতিক কৌশল

অপারেশন সিন্দুরের সাফল্যের পর প্রধানমন্ত্রী মোদী ক্রমাগত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের অধ্যক্ষতা করছেন। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, প্রধান সেনাপ্রধান জেনারেল অনিল চৌহান এবং তিন বাহিনীর প্রধানরা অংশগ্রহণ করেছেন।

বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানের কর্মকাণ্ডের উপর নজর রাখা এবং ভারতের কূটনৈতিক ও সামরিক কৌশলকে আরও শক্তিশালী করা।

সংঘাতবিরতি সত্ত্বেও পাকিস্তান লঙ্ঘন করেছে

যদিও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ৯ই মে সংঘাতবিরতি (Ceasefire Agreement) ঘোষণা করা হয়েছে, কিন্তু পাকিস্তান সেদিনই তার লঙ্ঘন করেছে। পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিস্রি জানিয়েছেন যে উভয় দেশ সন্ধ্যায় ৫ টা থেকে সকল ধরণের সামরিক কার্যকলাপ বন্ধ করার বিষয়ে সম্মত হয়েছিল, কিন্তু পাকিস্তান তাদের অভ্যাসের পরিচয় দিয়েছে।

Leave a comment