মোদীর ব্যাংকক সফর: বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলন ও দ্বিপাক্ষিক আলোচনা

মোদীর ব্যাংকক সফর: বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলন ও দ্বিপাক্ষিক আলোচনা
সর্বশেষ আপডেট: 03-04-2025

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য ব্যাংককে রওনা হয়েছেন। তিনি থাই প্রধানমন্ত্রী পেটংটার্ন শিনাওয়াত্রার সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন।

নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ষষ্ঠ বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। এই শীর্ষ সম্মেলনটি ৪ এপ্রিল ২০২৫-এ অনুষ্ঠিত হবে। এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী মোদী থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেটংটার্ন শিনাওয়াত্রার সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনাও করবেন। এটি প্রধানমন্ত্রী মোদীর থাইল্যান্ডের তৃতীয় সফর হবে।

থাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার তিন দিনের সফর

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম 'এক্স'-এ পোস্ট করে তাঁর সফরের কথা জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, আগামী তিন দিনে তিনি থাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা সফর করবেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই সফরের প্রধান উদ্দেশ্য হলো উভয় দেশ এবং বিমস্টেক সদস্য দেশগুলির সাথে ভারতের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করা। প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছেন, ব্যাংককে তিনি থাই প্রধানমন্ত্রী পেটংটার্ন শিনাওয়াত্রার সাথে দেখা করবেন এবং ভারত-থাইল্যান্ড মৈত্রীর বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করবেন। এছাড়াও, তিনি থাইল্যান্ডের রাজা মহা বাজিরালংকোর্নের সাথেও সাক্ষাৎ করবেন।

ষষ্ঠ বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ভাষণের প্রধান জোর থাকবে আঞ্চলিক সহযোগিতা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সদস্য দেশগুলির মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধি করার উপর। ভারত বিমস্টেককে আঞ্চলিক সমন্বয় এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হিসেবে বিবেচনা করে।

শ্রীলঙ্কা সফরের উপরও জোর

থাইল্যান্ড সফরের পর প্রধানমন্ত্রী মোদী ৪ থেকে ৬ এপ্রিল ২০২৫ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রীয় সফর করবেন। এই সফরটি শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি অনুরা কুমার দিসানায়কের সাম্প্রতিক ভারত সফরের পর হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছেন, তাঁর এই সফরের সময় বহুমুখী ভারত-শ্রীলঙ্কা মৈত্রীর পর্যালোচনা করা হবে এবং উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতার নতুন সুযোগগুলি নিয়ে আলোচনা হবে।

বিদেশ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর এই সফর ভারতের 'অ্যাক্ট ইস্ট' নীতিকে আরও শক্তিশালী করবে। বিমস্টেকের মাধ্যমে ভারত দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাথে কৌশলগত, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করতে চায়।

Leave a comment