মেয়রঠে নৃশংস হত্যাকাণ্ড: স্ত্রী ও প্রেমিক মিলে স্বামীকে হত্যা, ড্রামে লুকিয়ে রাখা মৃতদেহ

মেয়রঠে নৃশংস হত্যাকাণ্ড: স্ত্রী ও প্রেমিক মিলে স্বামীকে হত্যা, ড্রামে লুকিয়ে রাখা মৃতদেহ
সর্বশেষ আপডেট: 19-03-2025

মেয়রঠে সংঘটিত সৌরভ হত্যাকাণ্ড পুরো শহরকে তছনছ করে দিয়েছে। এই নৃশংস ঘটনায় স্ত্রী মুস্কান তার প্রেমিক সাহিলের সঙ্গে মিলে নিজের স্বামী সৌরভকে হত্যা করেছে।

উত্তরপ্রদেশ: মেয়রঠে সংঘটিত সৌরভ হত্যাকাণ্ড পুরো শহরকে তছনছ করে দিয়েছে। এই নৃশংস ঘটনায় স্ত্রী মুস্কান তার প্রেমিক সাহিলের সঙ্গে মিলে নিজের স্বামী সৌরভকে হত্যা করেছে। হত্যার পর দুই প্রেমিক শিমলা পালিয়ে যায়, সেখানে মন্দিরে বিয়ে করে এবং পরে মানালিতে হানিমুন উদযাপন করে। কিন্তু ১৩ দিন পর ফিরে আসার সাথে সাথেই তাদের ভয়াবহ ষড়যন্ত্রের পর্দাফাশ করে পুলিশ।

হত্যার পর বিয়ে ও হানিমুন

হত্যার পর মুস্কান ও সাহিল যেন নতুন জীবনের সূচনা করার সিদ্ধান্ত নেয়। তারা আগে থেকেই অনলাইনে হোটেল বুক করে রেখেছিল এবং বিয়ের পোশাকও কিনেছিল। শিমলায় বিয়ের পর তারা মানালিতে যায়, সেখানে তারা জমজমাট আনন্দ উদযাপন করে এবং মদ্যপান করে। কিন্তু তাদের এই আনন্দ বেশিদিন স্থায়ী হয়নি।

ড্রামে লুকিয়ে ছিল মৃতদেহ

মানালি থেকে ফিরে আসার পর তারা সৌরভের মৃতদেহের টুকরোগুলো লুকিয়ে রাখার পরিকল্পনা করে। তারা মৃতদেহকে সিমেন্টে মিশিয়ে একটি ড্রামে বন্ধ করে রেখেছিল। কিন্তু তা তুলতে গেলে তারা ব্যর্থ হয়। পরে তারা চারজন শ্রমিককে ডাকে, কিন্তু তারাও ভারী ড্রামটি তুলতে পারেনি। ই-রিকশায় তুলতেও ব্যর্থ হলে শ্রমিকরা সেখান থেকে চলে যায়। পুলিশ এই ড্রাম থেকেই হত্যাকাণ্ডের বড় সূত্র পায়।

অসহায় পিহু অनाথ হয়েছে

এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সবচেয়ে বড় শিকার হলো পাঁচ বছরের অসহায় পিহু, যার জন্মদিন ছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি। সেদিন সে মা-বাবার সাথে কেক কেটেছিল, কিন্তু সে জানত না এটি তার মা-বাবার সাথে শেষ জন্মদিন। পিতা সৌরভের মৃত্যু হয়েছে এবং মা মুস্কান জেলে গেছে। এখন পরিবারের মধ্যে সংগ্রাম চলছে কে শিশুটিকে রাখবে—সৌরভের মা রেনু নাকি মুস্কানের মা কবিতা রস্তোগী।

পুলিশ সনসনীধ্বনী তথ্য প্রকাশ করেছে

মেয়রঠ পুলিশের এসপি সিটি আয়ুষ বিক্রম সিংহ জানিয়েছেন, মার্চেন্ট নেভির প্রাক্তন কর্মচারী সৌরভের হত্যার ষড়যন্ত্র মুস্কান তার প্রেমিক সাহিলের সাথে মিলে করেছিল। তারা প্রথমে সৌরভকে হত্যা করে, তারপর মৃতদেহের টুকরো করে ড্রামে রেখে সিমেন্টে মিশিয়ে দেয়। পুলিশ এই সনসনীধ্বনী হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে দুজনকেই গ্রেফতার করেছে এবং বুধবার আদালতে হাজির করে জেলে পাঠানো হবে।

Leave a comment