কেরালের ভেঞ্জারামুডুতে এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে, যেখানে একই পরিবারের পাঁচজন সদস্যের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের অভিযুক্ত ২৩ বছর বয়সী আফান, যিনি পুলিশকে চমকে দেওয়া একটা তথ্য প্রকাশ করেছেন।
হত্যা মামলা: কেরালের ভেঞ্জারামুডুতে এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে, যেখানে একই পরিবারের পাঁচজন সদস্যের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের অভিযুক্ত ২৩ বছর বয়সী আফান, যিনি পুলিশকে চমকে দেওয়া একটা তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, তিনি তার প্রেমিকাকে হত্যা করেছেন কারণ সে তার ছাড়া একা থাকতে পারবে না।
হত্যার পর আত্মসমর্পণ এবং আত্মহত্যার চেষ্টা
হত্যাকাণ্ডের পর আফান নিজেই ভেঞ্জারামুডু থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে। এরপরই তিনি বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন, কিন্তু সময়মতো তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশের মতে, বর্তমানে তার অবস্থা স্থির এবং তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কী আর্থিক সংকট ছিল রক্তক্ষয়ী খেলার কারণ?
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, আফান প্রচুর ঋণের বোঝা নিয়ে জর্জরিত ছিলেন। তিনি ১৪ জনের কাছ থেকে প্রায় ৬৫ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। প্রথমে তিনি তার মা এবং ভাইয়ের সাথে আত্মহত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন, কিন্তু পরে ২৪শে ফেব্রুয়ারী তিনি তার ৮৮ বছর বয়সী দাদী, ১৩ বছর বয়সী ভাই, প্রেমিকা, চাচা এবং চাচিকে হত্যা করেন।
পরিবার আর্থিক সংকটের দাবি অস্বীকার করেছে
ঘটনার একদিন আগে বিদেশ থেকে ফিরে আসা অভিযুক্তের পিতা পুলিশের ঋণের দাবি নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তাদের পরিবারের উপর কোনো বড় আর্থিক সংকট ছিল না। তিনি বলেছেন, "আমাদের কোনো বড় ঋণ ছিল না। আমি জানি না হত্যার আসল কারণ কী ছিল, এর তদন্ত পুলিশকে করতে হবে।"
হত্যাকাণ্ডের পর আফান তার মায়ের উপরও হামলা করেছিলেন, কিন্তু তিনি somehow বেঁচে গেছেন এবং বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। পুলিশের মতে, হত্যাকাণ্ড দুটি আলাদা থানা ভেঞ্জারামুডু এবং প্যাঙ্গোডের এলাকায় ঘটেছে।
কী ছিল আসল উদ্দেশ্য?
বর্তমানে আফানকে প্যাঙ্গোড এলাকায় হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বাকি ঘটনার জন্যও শীঘ্রই তাকে গ্রেফতার করা হবে। পুলিশ পুরো ঘটনার গভীর তদন্ত করছে এবং আগামী দিনগুলিতে আরও সনসনীখেল তথ্য প্রকাশিত হতে পারে। এখন পর্যন্ত তদন্তে আফানের ঋণ এবং মানসিক অবস্থাকে হত্যাকাণ্ডের সম্ভাব্য কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে, কিন্তু পুলিশ এই বিষয়টিরও তদন্ত করছে যে কোনো গোপন ষড়যন্ত্র ছিল কিনা। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে পুরো এলাকা কেঁপে উঠেছে এবং মানুষ এখনও এই ট্র্যাজেডির আসল কারণ জানতে উৎকণ্ঠিত।