কন্যাকুমারীতে ভারতের প্রথম কাচের সেতুর উদ্বোধন

কন্যাকুমারীতে ভারতের প্রথম কাচের সেতুর উদ্বোধন
সর্বশেষ আপডেট: 01-01-2025

২০২৪ সালের ৩০শে ডিসেম্বর কন্যাকুমারীতে, সাগরের উপরে ভারতের প্রথম ‘কাচের সেতু’ উদ্বোধন করা হয়েছে। এই সেতুটি ৭৭ মিটার লম্বা এবং ১০ মিটার চওড়া, যা বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়াল এবং তিরুভল্লুভার প্রতিমাকে সংযুক্ত করে। এই প্রকল্পের ব্যয় ৩৭ কোটি টাকা।

নয়াদিল্লি: তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারীতে দেশের প্রথম কাচের সেতুর উদ্বোধন করা হয়েছে। এই কাচের সেতুটি ৭৭ মিটার লম্বা এবং ১০ মিটার চওড়া, যা কন্যাকুমারীর উপকূলে অবস্থিত বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়াল এবং ১৩৩ ফুট উঁচু তিরুভল্লুভার প্রতিমাকে সংযুক্ত করে। ৩১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ তে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম.কে. স্ট্যালিন এই সেতুর উদ্বোধন করেন।

এই সেতু নির্মাণের ব্যয় ৩৭ কোটি টাকা এবং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন আকর্ষণে পরিণত হতে পারে। কাচের সেতুর বিশেষত্ব হল পর্যটকরা সাগরের উপরে হেঁটে নিচের সৌন্দর্য এবং ঢেউ দেখতে পারবেন।

মুখ্যমন্ত্রী এম.কে. স্ট্যালিন সেতুর উদ্বোধন করেন

কন্যাকুমারীর সমুদ্র সৈকতে নির্মিত এই কাচের সেতুকে দেশের প্রথম এমন সেতু বলা হচ্ছে, যা পর্যটকদের বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়াল এবং ১৩৩ ফুট উঁচু তিরুভল্লুভার প্রতিমার পাশাপাশি আশপাশের সাগরের অসাধারণ দৃশ্য দেখার সুযোগ করে দেয়। সেতু দিয়ে হাঁটার মাধ্যমে পর্যটকরা রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা পান, কারণ তারা সাগরের উপরে হেঁটে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন।

তামিলনাড়ু সরকার ৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এই কাচের সেতু নির্মাণ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী এম.কে. স্ট্যালিন প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী এম. করুণানিধির দ্বারা তিরুভল্লুভার প্রতিমার উন্মোচনের রৌপ্যজয়ন্তী উপলক্ষে এই সেতুর উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর, মুখ্যমন্ত্রী এম.কে. স্ট্যালিন, উপ-মুখ্যমন্ত্রী উদয়নিধি স্ট্যালিন, রাজ্যের মন্ত্রী, সাংসদ কানিমোঝি এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা সেতু দিয়ে হেঁটে এর অভিজ্ঞতা নেন, যার ফলে এই সেতু রাজ্যের পর্যটন ক্ষেত্রে একটি নতুন আকর্ষণ হয়ে উঠেছে।

কাচের সেতু পর্যটনকে জোরদার করবে

এই কাচের সেতুকে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম.কে. স্ট্যালিনের দূরদর্শী চিন্তাধারার প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা পর্যটনকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি আধুনিক সুযোগ-সুবিধাও প্রদান করে। মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্য কন্যাকুমারীকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্থান হিসেবে গড়ে তোলা, এবং এই সেতুর নির্মাণ সেই লক্ষ্যের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই প্রকল্পটি শুধুমাত্র পর্যটনকে উৎসাহিত করার সুযোগই প্রদান করে না, বরং পর্যটকদের একটি নতুন এবং রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতাও দেয়।

এই সেতুটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে, যার ফলে এটি সাগরের কঠোর এবং জটিল পরিবেশেও টেকসই থাকবে। এটি লবণাক্ত বাতাস, জং এবং তীব্র সমুদ্রের ঝড়ের মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যা এর স্থায়িত্ব এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এই সেতুর উদ্বোধনের সাথে সাথে কন্যাকুমারীতে পর্যটনের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে এবং এই স্থান পর্যটকদের জন্য আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।

Leave a comment