হরিয়ানায় ঈদের ছুটি বাতিল: রাজনৈতিক বিতর্কের সূত্রপাত

হরিয়ানায় ঈদের ছুটি বাতিল: রাজনৈতিক বিতর্কের সূত্রপাত
সর্বশেষ আপডেট: 28-03-2025

হরিয়ানায় ঈদের রাজপত্রিত ছুটি বিকল্প ছুটিতে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। রাজ্য সরকার ৩১ মার্চ, অর্থবর্ষের শেষ দিনটিকে মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কিন্তু বিধানসভায় বিরোধীরা এটিকে মুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে অবিচার বলে দাবি করেছেন।

চণ্ডীগড়: হরিয়ানা সরকার ৩১ মার্চে আগে ঘোষিত ঈদের রাজকীয় ছুটি বাতিল করে তা বিকল্প ছুটিতে (প্রতিবন্ধী ছুটি) পরিবর্তন করেছে। এই সিদ্ধান্তের পর ঈদের দিন সরকারি দপ্তর খোলা থাকবে। তবে, বিকল্প ছুটির ব্যবস্থা থাকায় যারা ঈদে ছুটি নিতে চাইবেন, তাদের বেতনসহ ছুটি দেওয়া হবে। মুখ্য সচিব অনুরাগ রস্তোগী কর্তৃক জারি এই আদেশের পর বৃহস্পতিবার বিধানসভায় তীব্র হইচই হয়।

বিধানসভায় হইচই, বিরোধীদের প্রশ্ন

বৃহস্পতিবার হরিয়ানা বিধানসভায় এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তীব্র হইচই হয়। নুহ থেকে কংগ্রেস বিধায়ক আফতাব আহমদ বলেছেন যে, মুসলমানদের একটাই বড় উৎসব আছে, যা সারা দেশে ব্যাপক উৎসাহের সাথে পালিত হয়। তিনি সরকারের কাছে প্রশ্ন তুলেছেন যে, যখন সারা দেশে ঈদে রাজপত্রিত ছুটি আছে, তখন হরিয়ানায় তা কেন বাতিল করা হলো?

মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সেনী এই বিষয়ে স্পষ্টীকরণ দিয়ে বলেছেন যে, ৩১ মার্চ অর্থবর্ষের শেষ দিন, তাই সরকারি কাজের প্রয়োজনীয়তাকে বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বিরোধীদের কাছে আবেদন করেছেন যেন এই বিষয়টিকে অযথা বড় করে না দেখা হয়।

প্রথমবার ঈদের ছুটি বাতিল

মুখ্য সচিব অনুরাগ রস্তোগী কর্তৃক জারি আদেশ অনুযায়ী, ঈদের ছুটি এখন বিকল্প ছুটি হিসেবে পালিত হবে। এর অর্থ হলো, কর্মচারীরা ইচ্ছা করলে এই দিন ছুটি নিতে পারবেন, কিন্তু সরকারি দপ্তর খোলা থাকবে। হরিয়ানার ইতিহাসে এটাই প্রথমবার যখন ঈদের রাজপত্রিত ছুটি বাতিল করা হয়েছে। রাজ্যে প্রায় ৬% মুসলিম জনসংখ্যা আছে, যাদের মধ্যে ১৮ লক্ষ ভোটার আছে। রাজ্যের মোট ৯০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৫টিতে মুসলিম বিধায়ক আছেন।

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিংহ হুড্ডা বলেছেন যে, এই সিদ্ধান্ত রাজনীতি প্রণোদিত। তিনি বলেছেন, যখন হোলি এবং শহীদ দিবসে ছুটি দেওয়া হয়েছিল, তখন ঈদে কেন দেওয়া হলো না? মুসলিম বিধায়করাও এটিকে সম্প্রদায়ের সাথে বৈষম্য বলে দাবি করে সরকারের সমালোচনা করেছেন। হরিয়ানার ফিরোজপুর ঝিরকা, নুহ, হাথিন এবং পুনহানা প্রভৃতি এলাকায় মুসলিম ভোটাররা নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করে। এই পরিস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত সরকারের ভাবমূর্তির উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

Leave a comment