প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০২৫ সালের এপ্রিলে থাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার সফরে যাচ্ছেন। ভারত সরকারের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী মোদী ২০২৫ সালের ৩-৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে সফর করবেন।
নয়াদিল্লি: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০২৫ সালের এপ্রিলে থাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা সফর করবেন। এই সফরের প্রধান উদ্দেশ্য হলো আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং উভয় দেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করা। প্রধানমন্ত্রী মোদী ৩ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ বিমস্টেক (BIMSTEC) শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন। এরপর ৪ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি শ্রীলঙ্কা সফর করবেন।
থাইল্যান্ড সফরের গুরুত্ব
প্রধানমন্ত্রী মোদীর ব্যাংকক সফর কূটনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তিনি এই সময় বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন। ২০২৮ সালে নেপালে অনুষ্ঠিত চতুর্থ বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনের পর এটিই প্রথম ভৌতিক বৈঠক। ২০২২ সালের মার্চ মাসে কলম্বোতে অনুষ্ঠিত পঞ্চম বৈঠক ছিল ভার্চুয়াল।
বিমস্টেকে ভারতের ভূমিকা আরও জোরদার করার উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদী নিরাপত্তা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, সংযোগ, জলবায়ু পরিবর্তন, শক্তি সহযোগিতা এবং মানব নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করবেন। এছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী মোদীর থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পোয়েটংটার্ন শিনাওয়াত্রার সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হবে। এই বৈঠকে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক এবং সাংস্কৃতিক অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির জন্য নতুন পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
শ্রীলঙ্কা সফর: উন্নয়ন ও সহযোগিতার উপর ফোকাস
থাইল্যান্ড সফরের পর প্রধানমন্ত্রী মোদী ৪ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা সফর করবেন। এই সফরে তিনি শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি অনুরা কুমার দিসানায়কে এর সাথে সাক্ষাত করবেন। উভয় দেশের মধ্যে কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার বিষয়ে আলোচনা হবে। প্রধানমন্ত্রী মোদী শ্রীলঙ্কায় ভারতীয় আর্থিক সহায়তায় চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলির উদ্বোধন করবেন।
বিশেষ করে অনুরাধাপুরায় নতুন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হবে। উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি দিসানায়কে তাঁর কার্যকালের প্রথম বিদেশ সফর হিসেবে ভারত সফর করেছিলেন, যা উভয় দেশের মজবুত সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়।
আঞ্চলিক সহযোগিতা নতুন দিক পাবে
প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই সফর হিন্দ-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারতের ভূমিকাকে আরও শক্তিশালী করবে। বিমস্টেকের মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কার সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন শক্তি যোগ হবে। এই সফর কেবলমাত্র ভারত-থাইল্যান্ড ও ভারত-শ্রীলঙ্কা সম্পর্ক উন্নত করবে না, বরং এটি হিন্দ-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য একটি ইতিবাচক সংকেত হিসেবেও কাজ করবে।