জয়সলমের: জয়সলমের জেলার লাঠি অঞ্চলে অবস্থিত কেরালিয়া গ্রামে একটি বিয়ে দৌজ প্রথার বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বার্তা দিয়েছে। দুলাভাই বিয়ের সময় ঐতিহ্যগত টিকা রীতিতে দেওয়া ৫ লাখ ৫১ হাজার টাকা নিতে অস্বীকার করে মাত্র এক টাকা ও নারকেল নিয়ে সমাজে পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছেন।
দুলাভাইয়ের উদ্যোগ গ্রামে নতুন সূচনা করেছে
যখন কন্যাপক্ষ ঐতিহ্যগত রীতিতে দুলাভাইকে ৫ লাখ ৫১ হাজার টাকা উপহার দিয়েছিল, তখন দুলাভাইয়ের পিতা কোনো দ্বিধা ছাড়াই সেই টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন। তিনি শুধুমাত্র শুভেচ্ছা হিসেবে এক টাকা ও নারকেল গ্রহণ করেছেন। দুলাভাইয়ের এই উদ্যোগ বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে ও গ্রামবাসীদের আবেগাপ্লুত করে তুলেছে। কন্যাপিতা এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে বলেছেন যে, এ ধরণের পদক্ষেপ সমাজে পরিবর্তন আনতে সাহায্য করবে এবং যে কোনো পিতাকেই তার মেয়েকে বোঝা ভাবার মানসিকতা থেকে মুক্তি দিবে।
দুলাভাই পরমবীর সিংহের উদ্যোগের প্রশংসা
পালি জেলার কান্টালিয়া গ্রামের বাসিন্দা পরমবীর সিং কুমাওয়াত, যিনি বর্তমানে সিভিল সার্ভিসের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি কেরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা জেঠু সিং ভাটির কন্যা নীতিকা কুঁওয়ারের সাথে বিয়ে করেছেন। বিয়ের সময় পরমবীর দৌজ নিতে অস্বীকার করেছেন এবং শুধুমাত্র শুভেচ্ছা হিসেবে এক টাকা ও নারকেল গ্রহণ করেছেন। পরমবীর সিংহের এই উদ্যোগ শুধুমাত্র বিয়েতে উপস্থিত ব্যক্তিদের নয়, সমগ্র গ্রামে একটি ইতিবাচক বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছে।
পরিবর্তনের জন্য শিক্ষিত শ্রেণীকে এগিয়ে আসতে হবে
দুলাভাই এই উপলক্ষে বলেছেন, "আমার দৌজের কোনো প্রয়োজন নেই। এই কুপ্রথা সমাজে পরিবর্তন আনার জন্য নির্মূল হওয়া উচিত, এবং এর জন্য শিক্ষিত শ্রেণীকে উদ্যোগী হতে হবে। এই পরিবর্তন একদিনে হবে না, কিন্তু শুরু তো কোথাও থেকেই হতে হবে।"
এই সিদ্ধান্তে কেবলমাত্র কন্যাপিতা জেঠু সিং ভাটিই নয়, বিয়েতে উপস্থিত প্রত্যেকেই দুলাভাইয়ের চিন্তাভাবনার প্রশংসা করেছেন। ভাটি এই প্রতিজ্ঞাও করেছেন যে, তিনি এই প্রথার অবসান ঘটানোর জন্য এবং এটিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করবেন।
সমাজে পরিবর্তনের আশা
দুলাভাইয়ের এই উদ্যোগ সমাজে পরিবর্তনের আশা জেগেছে, যার ফলে আগামীতে দৌজ প্রথার অবসান ঘটতে পারে এবং প্রত্যেক পিতাই তার মেয়েকে বোঝা ভাববে না। এই পদক্ষেপ শুধুমাত্র ঐতিহ্যগত চিন্তাধারাকে চ্যালেঞ্জই করেনি, বরং সমাজে একটি নতুন সূচনার দিকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে।