মণিপুরে অবৈধ অভিবাসী বিতাড়নের দাবিতে বীরেন সিংয়ের আহ্বান

মণিপুরে অবৈধ অভিবাসী বিতাড়নের দাবিতে বীরেন সিংয়ের আহ্বান
সর্বশেষ আপডেট: 28-05-2025

মণিপুরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন. বীরেন সিং রাজ্যপালকে চিঠি লিখে অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্তকরণ ও বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্র সরকারের নির্দেশিকা বাস্তবায়নে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি মণিপুরের নিরাপত্তা ও সাংস্কৃতিক পরিচয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

Manipur News: মণিপুরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন. বীরেন সিং সম্প্রতি রাজ্যপাল অজয় কুমার ভল্লার কাছে একটি চিঠি লিখে মণিপুরে অবৈধ অভিবাসীদের বর্ধমান সমস্যা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বাংলাদেশ ও মায়ানমার থেকে আগত অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্তকরণ ও বহিষ্কারের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি, তিনি গৃহ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারি ৩০ দিনের মধ্যে অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্তকরণ ও বহিষ্কারের নির্দেশাবলীকে প্রশংসা করে তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

মণিপুরে অবৈধ অভিবাসীদের সমস্যা

বীরেন সিং তার চিঠিতে উল্লেখ করেছেন যে মণিপুরে অবৈধ অভিবাসীদের বর্ধমান সংখ্যা রাজ্যের সাংস্কৃতিক পরিচয় ও সামাজিক গঠনকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন যে ২০০৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত রাজ্য সরকার বিভিন্ন শনাক্তকরণ অভিযানের মাধ্যমে হাজার হাজার অবৈধ অভিবাসীকে শনাক্ত করেছে। বিশেষ করে, ২০২৩ সালে গঠিত তিন সদস্যের ক্যাবিনেট উপ-সমিতির মাধ্যমে ৫,৪৫৭ জন অবৈধ অভিবাসীকে শনাক্ত করা হয়েছে, যাদের অধিকাংশই মায়ানমার থেকে।

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন যে এই অবৈধ অভিবাসীদের কারণে রাজ্যে নতুন গ্রাম ও বসতির সংখ্যা অপ্রত্যাশিতভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে বনভূমি দখল ও সম্পদের উপর চাপ বেড়েছে। এছাড়াও, তিনি অবৈধ অভিবাসীদের দ্বারা সশস্ত্র গোষ্ঠী ও মাদকদ্রব্যের ব্যবসায় জড়িত থাকার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।

গৃহ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশাবলী ও বীরেন সিংয়ের প্রতিক্রিয়া

বীরেন সিং গৃহ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারি ৩০ দিনের মধ্যে অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্তকরণ ও বহিষ্কারের নির্দেশাবলীকে প্রশংসা করেছেন। তিনি এটাকে তার দীর্ঘদিনের স্বপ্নের পূর্ণতা বলে উল্লেখ করেছেন এবং রাজ্যপালের কাছে এই নির্দেশাবলী কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।

নিরাপত্তা কমানো

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা সম্প্রতি কমানো হয়েছে। মণিপুর পুলিশ কর্তৃক জারি আদেশ অনুযায়ী, তার নিরাপত্তা দলে থাকা ১৭ জন পুলিশ কর্মীকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখন তার সাথে মাত্র ছয় জন নিরাপত্তা কর্মী থাকবেন, যাদের মধ্যে তিনজন সহকারী উপ-পরিদর্শক, একজন প্রধান কনস্টেবল এবং দুইজন কনস্টেবল রয়েছেন। ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫-এ তার পদত্যাগ এবং ১৩ ফেব্রুয়ারী মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন আরোপের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Leave a comment