ভারত-পাকিস্তান সামরিক উত্তেজনা: কেন্দ্রীয় সরকারের জরুরি বৈঠক

ভারত-পাকিস্তান সামরিক উত্তেজনা: কেন্দ্রীয় সরকারের জরুরি বৈঠক
সর্বশেষ আপডেট: 09-05-2025

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে হঠাৎ বেড়ে যাওয়া সামরিক উত্তেজনার মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার উচ্চ পর্যায়ের কৌশলগত বৈঠক ডেকেছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সভাপতিত্বে আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ জরুরি পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যেখানে তিনটি সেনাবাহিনীর প্রধান এবং চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (CDS)ও উপস্থিত থাকবেন।

India-Pakistan Conflict: পাকিস্তান ভারতের বেশ কয়েকটি সামরিক ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে আক্রমণ করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ভারতীয় সেনা এই আক্রমণকে সম্পূর্ণ ব্যর্থ করে দিয়েছে। সংবাদ অনুযায়ী, পাকিস্তান যুদ্ধবিমান, ড্রোন, রকেট এবং ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে জম্মু, পাঠানকোট, ফিরোজপুর, কপূরথলা, জালন্ধর এবং জয়সালমেরের সামরিক ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করার চেষ্টা করেছিল।

এই গুরুতর পরিস্থিতিকে বিবেচনা করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ অপারেশন সিন্দুর এবং এর পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠক করবেন। দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখা হচ্ছে এবং সমস্ত সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পাকিস্তানি আক্রমণের চেষ্টা ব্যর্থ, ভারত দিয়েছে কড়া জবাব

বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তান ভারতের ছয়টি প্রধান সামরিক ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে আক্রমণ করার দুঃসাহসী চেষ্টা করেছিল। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তান ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র, রকেট এবং যুদ্ধবিমানের মাধ্যমে জম্মু, পাঠানকোট, ফিরোজপুর, কপূরথলা, জালন্ধর এবং জয়সালমেরের সামরিক ঘাঁটিতে আক্রমণ করার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু ভারতীয় সেনা এবং বিমানবাহিনীর সতর্কতা এবং প্রস্তুতির ফলে পাকিস্তানের এই সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে।

ভারতের বিমানবাহিনী শুধুমাত্র শত্রুর ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রকে পথেই ধ্বংস করে দেয়নি, বরং প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপে পাকিস্তানের চারটি যুদ্ধবিমানকেও ভূপাতিত করেছে। এর মধ্যে দুটি আমেরিকান F-16 এবং দুটি চীনা JF-17 ছিল।

অপারেশন সিন্দুরের পর থেকে পাকিস্তানে উত্তেজনা

ভারত ৭ মে অপারেশন সিন্দুরের অধীনে পাকিস্তান সীমান্তে লুকিয়ে থাকা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একটি বৃহৎ সামরিক অভিযান চালিয়েছিল। এই অভিযানে ভারত সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসবাদী লঞ্চ প্যাড এবং সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করেছিল। এর পর থেকে পাকিস্তানে উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। সেই উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তান ভারতের উপর প্রতিশোধমূলক আক্রমণ করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী তাদের প্রতিটি পদক্ষেপকে ব্যর্থ করে দিয়েছে।

জরুরি বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হবে

রাজনাথ সিংহ কর্তৃক আহ্বানিত এই পর্যালোচনা বৈঠকে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে:

  • পাকিস্তানের সামরিক কার্যকলাপের বিশ্লেষণ এবং গোয়েন্দা তথ্যের পর্যালোচনা
  • ভারতের প্রতিশোধমূলক সামরিক কৌশল এবং ভবিষ্যৎ প্রস্তুতি
  • সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করা
  • নাগরিক এলাকার নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত ব্যবস্থা
  • ভারতের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া
  • প্রতিরক্ষা সূত্র অনুযায়ী, এই বৈঠকে লাদাখ এবং পাঞ্জাব সেক্টরে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের বিষয়েও विचार করা হতে পারে। পাশাপাশি, ভারতের সমস্ত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উচ্চ সতর্কতা অবস্থায় রাখা হয়েছে।

জনতা এবং জওয়ান – উভয়ের সুরক্ষাই প্রধান

ভারত সরকার স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তিনি কোনও ধরণের আক্রমণাত্মক কার্যকলাপ সহ্য করবে না এবং যেকোনো মূল্যে দেশের সার্বভৌমত্ব এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। সেনাবাহিনীকে সম্পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে যে তারা পরিস্থিতির প্রয়োজন অনুযায়ী উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া দেবে। ভারত পাকিস্তানের এই কার্যকলাপের তথ্য জাতিসংঘ, আমেরিকা, রাশিয়া এবং অন্যান্য বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলিকে জানিয়েছে। বিদেশ মন্ত্রণালয় পাকিস্তানের কার্যকলাপকে সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসবাদ এর নতুন উদাহরণ বলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরছে।

Leave a comment