বারাবঙ্কিতে ওয়াকফ বোর্ড সরকারি রেকর্ডে উল্লেখিত ৮১২টি সম্পত্তির দাবি করেছে, যার মধ্যে কবরস্থান, ঈদগাহ, মাদ্রাসা, দোকান এবং কারবালা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মোট সম্পত্তির সংখ্যা ৫০১১।
ওয়াকফ বিল: উত্তরপ্রদেশে ওয়াকফ বোর্ড সরকারি রেকর্ডে উল্লেখিত ৮১২টি সম্পত্তির উপর নিজেদের দাবি জানিয়েছে, যার মধ্যে কবরস্থান, মসজিদ, দোকান এবং অন্যান্য সম্পত্তি অন্তর্ভুক্ত। ওয়াকফ বোর্ডের দাবি, ধারা-৩৭ অনুযায়ী এই সম্পত্তিগুলি তাদের অধীনে। এখন আরও সরকারি জমির তদন্তের জন্য একটি নতুন জরিপ করা হবে এবং শাসন থেকে নির্দেশ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজস্ব বিভাগ কর্তৃক উপস্থাপিত যুক্ত সংসদীয় কমিটি (জেপিসি)-র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই ৮১২টি সম্পত্তির মোট ক্ষেত্রফল প্রায় ১০৮ হেক্টর। ওয়াকফ বোর্ডের দাবি, এই সম্পত্তিগুলির উপর তাদের অধিকার রয়েছে এবং এগুলি তাদের রেকর্ডে উল্লেখিত।
ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তির বিবরণ
৮১২টি সম্পত্তির মধ্যে ৬১৪টি কবরস্থান, ১৫টি ঈদগাহ, ৬টি মাদ্রাসা, ১২টি দোকান এবং ৭০টি কারবালা অন্তর্ভুক্ত। এছাড়াও ৩৩টি স্থানে মাজার, ৪৩টি মসজিদ, ৫টি দরগাহ, ১টি পাঠশালা, ১টি খেলার মাঠ এবং ১টি বন্ধ্যা জমিও ওয়াকফের দখলে রয়েছে।
ওয়াকফ বোর্ডের বাস্তব সম্পত্তি
এছাড়াও, ওয়াকফ বোর্ডের কাছে মোট ৫০১১টি সম্পত্তি রয়েছে, যার মধ্যে মাজার, মসজিদ, কারবালা, দরগাহ, কবরস্থান, দোকান এবং অন্যান্য জমি অন্তর্ভুক্ত। এর মধ্যে অধিকাংশ সম্পত্তি সুন্নি ওয়াকফের (৪৮৬৩), আর শিয়া ওয়াকফের সম্পত্তির সংখ্যা ১৪৮।
জেলা অনুযায়ী সম্পত্তির বিবরণ
জেলার বিভিন্ন তহশিল এলাকায় ওয়াকফ বোর্ডের দখলে থাকা জমির অবস্থাও সামনে এসেছে। নওয়াবগঞ্জে ৭৬টি সম্পত্তি ৯.১৬৭ হেক্টর জমির উপর, রামনগরে ৩৪টি সম্পত্তি ৫.১৫৭ হেক্টর জমির উপর এবং রামসনেহীঘাটে ২৮৫টি সম্পত্তি ৪৯.০৪২ হেক্টর জমির উপর দখল করে আছে।
সরকারি ব্যবস্থা
জেলা সংখ্যালঘু কল্যাণ কর্মকর্তা বি.কে. দ্বিবেদী জানিয়েছেন, শাসন থেকে নির্দেশ পেলে ওয়াকফ সম্পত্তির পুনরায় জরিপ করা হবে। এর জন্য পুলিশ, বিএসএ এবং রাজস্ব বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হবে এবং নির্দেশ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।