সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব বিতর্ক ও হইচইয়ের মধ্য দিয়ে কেটেছে। বিরোধীরা নানা বিষয়ে সরকারকে ঘিরে রাখার চেষ্টায় ব্যস্ত, অন্যদিকে কেন্দ্র সরকার আজ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ কর্তৃক উপস্থাপিত বাজেট পাশ করানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
নয়াদিল্লি: সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব বিতর্ক ও হইচইয়ের মধ্য দিয়ে কেটেছে। বিরোধীরা নানা বিষয়ে সরকারকে ঘিরে রাখার চেষ্টায় ব্যস্ত, অন্যদিকে কেন্দ্র সরকার আজ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ কর্তৃক উপস্থাপিত বাজেট পাশ করানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই উদ্দেশ্যে বিজেপি তাদের সকল সাংসদকে তিন লাইনের হুইপ জারি করেছে, যাতে তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা যায়। কংগ্রেসও প্রতিরোধমূলক কৌশল হিসেবে তাদের সাংসদদের সংসদে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
গিলোটিন ব্যবহার করে কি আলোচনা ছাড়াই বাজেট পাশ হবে?
সূত্র মতে, সরকার বাজেট নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা এড়িয়ে গিলোটিন কৌশল অবলম্বন করে তা সরাসরি পাশ করাতে পারে। গিলোটিন একটি সংসদীয় পদ্ধতি, যার মাধ্যমে সরকার কোনও বিল বিস্তারিত আলোচনা ছাড়াই পাশ করাতে পারে। সাধারণত সময়ের অভাব হলে অথবা সরকার কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিল দ্রুত পাশ করাতে চাইলে এই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়।
বিজেপি ও কংগ্রেসের কৌশল
বিজেপি লোকসভায় তাদের সকল সাংসদকে জানিয়েছে যে, শুক্রবার ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের জন্য অনুদানের বিভিন্ন দাবি পাশ করা হবে। এজন্য সকল সাংসদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক হবে। অন্যদিকে, কং
গ্রেসের কিছু সাংসদ বলছেন যে, সরকার বিরোধীদের আওয়াজ দমন করার জন্য গিলোটিন ব্যবহার করছে।
কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক কে.সি. বেণুগোপাল বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেছেন যে, সরকার সংসদীয় গণতন্ত্রের হত্যা করছে। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, বিজেপি তুচ্ছ বিষয় উত্থাপন করে সংসদের কার্যকলাপ ব্যাহত করছে এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা এড়িয়ে যাচ্ছে।
সংসদে হইচইয়ের আশঙ্কা
এদিকে, দ্রমুক সাংসদদের পুনর্নির্বাচনের বিরোধিতায় স্লোগান লেখা টি-শার্ট পরে প্রতিবাদ করার ফলে সংসদের কার্যকলাপ ব্যাহত হয়েছে। কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধী দলও সরকারের উপর জবাবদিহিতা এড়ানোর অভিযোগ করেছে। বিরোধীদের দাবি, তারা বারবার আলোচনার দাবি জানিয়েছে কিন্তু সরকার আলোচনা এড়িয়ে যাচ্ছে।
এমতাবস্থায়, আজ যখন সংসদে বাজেট পাশের প্রক্রিয়া চলবে, তখন হইচইয়ের আশঙ্কা রয়েছে। যদি সরকার গিলোটিন ব্যবহার করে, তাহলে বিরোধীদের প্রতিবাদ আরও তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
