অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা একটা বড়ো এবং গুরুত্বপূর্ণ দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন যে, ইসলামিক দেশগুলির "হ্যান্ডলার" অসম কংগ্রেসের সমর্থনে ৫০০০-এর বেশি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করছে।
অসম কংগ্রেস: অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা আবারও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তীব্র অভিযোগে শিরোনামে উঠে এসেছেন। এইবার তিনি দাবি করেছেন যে, ইসলামিক দেশগুলির নিয়ন্ত্রণে থাকা হ্যান্ডলার অসম কংগ্রেসের সমর্থনে ৫০০০-এর বেশি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করছে। তিনি ২০২৬ সালে অনুষ্ঠেয় বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে এই অভিযোগ এনেছেন এবং এটিকে রাজ্যের রাজনীতিতে বিদেশী হস্তক্ষেপের সবচেয়ে বড়ো উদাহরণ বলে দাবি করেছেন।
বিদেশী হস্তক্ষেপ নাকি নির্বাচনী কৌশল?
হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, এতদিন অসমের রাজনীতিতে এতটা বিদেশী হস্তক্ষেপ কখনও দেখা যায়নি। এই অ্যাকাউন্টগুলি কংগ্রেসের পক্ষে সর্বদা গল্প তৈরি করছে এবং জনতাকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি সংগঠিত অভিযান চালানো হচ্ছে, যা স্থানীয় নয়, বরং আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত।
যদিও তিনি এই বিষয়ে কোনও প্রযুক্তিগত প্রমাণ বা বিস্তারিত তথ্য জনসম্মুখে উপস্থাপন করেননি, তবে তিনি অবশ্যই বলেছেন যে, সরকারি সংস্থাগুলি এই সম্পূর্ণ বিষয়টি নজরদারি করছে এবং সময় আসলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গৌরব গগৈর উপরও আগে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছিল
এই প্রথমবার নয় যখন হিমন্ত শর্মা কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন। কিছুদিন আগেই তিনি কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈর উপর অভিযোগ করেছিলেন যে, তিনি পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ISI-এর আমন্ত্রণে পাকিস্তান গিয়েছিলেন। হিমন্ত বলেছিলেন, গৌরব গগৈ পর্যটনের জন্য পাকিস্তান যাননি, বরং তিনি সেখানে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিলেন। আমাদের কাছে এর প্রমাণ রয়েছে যে তাকে ISI দ্বারা আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
গৃহ বিভাগ যখন কোনও বিদেশী নাগরিককে ডাকে, তখন তা কেবলমাত্র প্রশিক্ষণ বা আনুষ্ঠানিক কারণে হয়, ব্যক্তিগত পর্যটনের জন্য নয়। তিনি এও অভিযোগ করেছেন যে, গগৈ পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠানের সাথে মিলে কাজ করছেন এবং এটি একটি জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়, যা হালকাভাবে নেওয়া যাবে না।
কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অস্বীকার
এখনও পর্যন্ত কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগগুলির উপর কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি, তবে দলের সাথে যুক্ত সূত্রের দাবি, আসন্ন নির্বাচনকে বিবেচনা করে এটি রাজনৈতিক পরিবেশকে ধ্রুবীকরণ করার একটি কৌশল। দলের নেতারা এও বলেছেন যে, যদি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রমাণ থাকে, তাহলে তা জনসাধারণের কাছে প্রকাশ করা উচিত অথবা তদন্তকারী সংস্থার কাছে জমা দেওয়া উচিত।
- অসমে ২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং রাজনৈতিক পরিবেশ ইতোমধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়া এখন নির্বাচনী অস্ত্রে পরিণত হয়েছে এবং প্রতিটি দল তাদের ডিজিটাল উপস্থিতি বাড়াতে ব্যস্ত। এই পরিস্থিতিতে হিমন্ত শর্মার এই বক্তব্য অনেক প্রশ্ন তুলে ধরেছে:
- সোশ্যাল মিডিয়ায় কি সত্যিই বিদেশী শক্তির প্রভাব বেড়ে যাচ্ছে?
- নির্বাচন কমিশন কি এই দিকে তদন্ত করবে?
- গগৈর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের স্বাধীন তদন্ত হবে কি?