২০৩৬ অলিম্পিকে রাজস্থান থেকেই আসবে সর্বাধিক পদকজয়ী কুস্তিগির: রাজীব দত্ত

 ২০৩৬ অলিম্পিকে রাজস্থান থেকেই আসবে সর্বাধিক পদকজয়ী কুস্তিগির: রাজীব দত্ত
সর্বশেষ আপডেট: 12-06-2025

রাজস্থান রাজ্য কুস্তি সংঘের সভাপতি রাজীব দত্ত ২০৩৬ সালের অলিম্পিক খেলোয়াড়দের নিয়ে একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, আসন্ন অলিম্পিকে ভারতের পক্ষ থেকে সর্বাধিক পদক বিজয়ী কুস্তিগিররা রাজস্থান থেকে আসবে।

জোধপুর: রাজস্থান রাজ্য কুস্তি সংঘের সভাপতি রাজীব দত্ত ২০৩৬ অলিম্পিক খেলোয়াড়দের নিয়ে একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, আসন্ন অলিম্পিকে ভারতের পক্ষ থেকে সর্বাধিক পদক বিজয়ী কুস্তিগিররা রাজস্থান থেকে আসবে। এই লক্ষ্যমাত্রা কেবলমাত্র একটি স্বপ্ন নয়, বরং সংঘের কৌশলগত পরিকল্পনার অংশ, যা ধাপে ধাপে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

এই ঘোষণা তিনি ১২ই জুন জোধপুরে অনুষ্ঠিত ১৫ বছরের কম বয়সীদের রাজ্য-স্তরীয় কুস্তি প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে করেছেন। দত্ত বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত ২০৩৬ অলিম্পিকের আয়োজনের জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে এবং এই দিকেই রাজস্থানও খেলাধুলার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে চায়।

প্রযুক্তি থেকে শক্তি: কুস্তিতে AI এবং ভিডিও বিশ্লেষণের অন্তর্ভুক্তি

রাজীব দত্ত জানিয়েছেন, রাজস্থানে কুস্তির জন্য একটি অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র শীঘ্রই স্থাপন করা হবে, যেখানে ভিডিও বিশ্লেষণ এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) ব্যবহার করা হবে। এর উদ্দেশ্য হল খেলোয়াড়দের প্রযুক্তিগত দুর্বলতাগুলি চিহ্নিত করা এবং তাদের পারফরম্যান্স উন্নত করা।

প্রযুক্তি এখন খেলার অংশ হয়ে উঠেছে। AI-এর সাহায্যে আমরা প্রতিটি খেলোয়াড়ের সূক্ষ্ম বিষয়গুলি বুঝতে পারব এবং তাদের আন্তর্জাতিক স্তরের প্রস্তুতি দিতে পারব, – রাজীব দত্ত

গ্রামীণ এবং মহিলা কুস্তিগিরদের জন্য বিশেষ কৌশল

দত্ত জানিয়েছেন, কুস্তি সংঘের কৌশলগত পরিকল্পনায় মহিলা কুস্তিগির এবং গ্রামীণ অঞ্চলের প্রতিভাদের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এই ক্ষেত্রগুলিতে প্রতিভার কোনও অভাব নেই, কিন্তু সংস্থান এবং নির্দেশনার অভাবে অনেক সময় এই খেলোয়াড়রা পিছিয়ে পড়ে। সংঘ এখন গ্রামে গ্রামে গিয়ে প্রশিক্ষণ শিবির করবে এবং প্রতিযোগিতা আয়োজন করে প্রতিটি যুবককে সুযোগ দেবে। আমরা চাই রাজস্থানের প্রতিটি জেলা থেকে একজন করে অলিম্পিয়ান বের হোক, – রাজীব দত্ত

রাজ্য সরকারের পরিকল্পনার সাথে খেলোয়াড়দের যুক্ত করা হবে

রাজ্য কুস্তি সংঘ এখন খেলোয়াড়দের কেবলমাত্র প্রশিক্ষণই দেবে না, বরং সরকারি পরিকল্পনার তথ্য এবং সহায়তাও দেবে। প্রায়শই দেখা যায় যে, খেলোয়াড়রা অনেক লাভজনক পরিকল্পনার থেকে বঞ্চিত থাকে, কারণ তাদের সেই সম্পর্কে কোনও ধারণাই থাকে না। রাজীব দত্ত বলেছেন, এখন সংঘ প্রতিটি খেলোয়াড়কে সরকারের পরিকল্পনার সাথে যুক্ত করার কাজ করবে, যাতে তারা অর্থনৈতিক এবং সামাজিকভাবেও সবল হতে পারে। আমাদের লক্ষ্য কেবলমাত্র পদক নয়, বরং একটি সবল খেলোয়াড় শ্রেণি গঠন করা।

প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দৃঢ় ভিত্তি তৈরি হচ্ছে

সম্প্রতি কোটায় ২০ বছরের কম বয়সীদের এবং এখন জোধপুরে ১৫ বছরের কম বয়সীদের কুস্তি প্রতিযোগিতার আয়োজন এই দিকে একটি বড় পদক্ষেপ। এই আয়োজনের মাধ্যমে উদীয়মান প্রতিভাদের চিহ্নিত এবং তৈরি করার কাজ করা হচ্ছে। রাজস্থান রাজ্য কুস্তি সংঘ এটা নিশ্চিত করছে যে, কোনও প্রতিভাই সুযোগ না পেয়ে বাদ যাবে না।

দত্ত এটাও বলেছেন যে, সংঘের স্বপ্ন হল রাজস্থান আগামী বছরগুলিতে ভারতের কুস্তির কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠুক। এর জন্য স্থানীয় পর্যায়ে কাজ শুরু হয়ে গেছে – কোচিং, সুযোগ-সুবিধা, নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং সরকারি সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে।

 

Leave a comment