গুজরাটে ৫ বছরের শিশুকন্যার নরবলি: তান্ত্রিক গ্রেফতার

গুজরাটে ৫ বছরের শিশুকন্যার নরবলি: তান্ত্রিক গ্রেফতার
সর্বশেষ আপডেট: 11-03-2025

গুজরাটের বোডেলি তহশিলের পানেজ গ্রামে এক রোমহর্ষক ঘটনা ঘটেছে। অন্ধবিশ্বাসের জালে আটকে এক তান্ত্রিক ৫ বছরের এক শিশুকন্যাকে নির্মমভাবে হত্যা করে তার বলি দিয়েছে। গ্রামবাসীর সতর্কতার ফলে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় পুরো এলাকায় ভয় ও ক্ষোভের পরিবেশ বিরাজ করছে।

অপরাধ: গুজরাটের ছোট উদয়পুর জেলার পানেজ গ্রামে এক তান্ত্রিক অন্ধবিশ্বাসের বশে ৫ বছরের এক শিশুকন্যাকে নির্মমভাবে হত্যা করে তার বলি দিয়েছে। তান্ত্রিকটি হত্যার পর মন্দিরে রক্তের ছিটে ছিটে ছিটিয়ে দেয়। যখন সে শিশুটির ছোট ভাইকেও অপহরণ করার চেষ্টা করে, তখন গ্রামবাসী তাকে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পুলিশ অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনায় গ্রামে ভয় ও ক্ষোভের পরিবেশ বিরাজ করছে এবং মানুষ অন্ধবিশ্বাসের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছে।

তান্ত্রিক মন্দিরে নরবলির আচার সম্পন্ন করে

গ্রামবাসীদের মতে, তান্ত্রিক লালু হিম্মত তড়বি খেলোয়াড় শিশুটিকে অপহরণ করে তার বাড়ির সামনে তৈরি মন্দিরে তান্ত্রিক কার্যকলাপ শুরু করে। পরবর্তীতে কুঠার দিয়ে শিশুটির গলা কেটে তার বলি দেয়। এরপর অভিযুক্ত মন্দিরে রক্ত ছিটিয়ে তান্ত্রিক শক্তি লাভের দাবি করে। হত্যার পর তান্ত্রিক শিশুটির ছোট ভাইকেও তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু গ্রামবাসী তাকে দেখে ফেলে এবং তাকে ধরে ফেলে। তৎক্ষণাৎ পুলিশকে খবর দেওয়া হয়, যারা ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।

পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে, এলাকায় ভয়ের পরিবেশ

ছোট উদয়পুরের এএসপি গৌরব আগরওয়াল জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডের সময় শিশুটির মা বাড়ির বাইরে ছিলেন। পুলিশ অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। গ্রামে ভয় ও ক্রোধের পরিবেশ বিরাজ করছে এবং মানুষ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছে।

অন্ধবিশ্বাসের গভীর শিকড়, প্রশাসনের জন্য চ্যালেঞ্জ

ছোট উদয়পুর আদিবাসী-প্রধান এলাকা, যেখানে অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কার এখনও সমাজে গভীরে বিরাজ করছে। প্রশাসন আগেও সচেতনতামূলক অভিযান চালিয়েছে, কিন্তু এই ঘটনা আবারও এই কুপ্রথার ভয়াবহ রূপকে উন্মোচন করে। গ্রামবাসীরা সরকারের কাছে কঠোর আইন প্রণয়ন এবং তান্ত্রিক প্রথার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার দাবি জানিয়েছে যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের বর্বর ঘটনা আর ঘটতে না পারে।

Leave a comment