এয়ার ইন্ডিয়া তুরস্কের একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে তাদের বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই পদক্ষেপটি কোম্পানির কৌশলগত পরিবর্তনের অংশ, যার অধীনে দেশীয় এবং নির্ভরযোগ্য বিদেশী কেন্দ্রে রক্ষণাবেক্ষণ সুবিধা বৃদ্ধির উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সিদ্ধান্ত ভারতের এমআরও (রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত এবং ওভারহল) শিল্পকে উৎসাহিত করতে পারে।
এয়ার ইন্ডিয়া তাদের বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ সেবায় তুরস্কের একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে চলমান চুক্তি বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে। কোম্পানির সিইও ক্যাম্পবেল উইলসন এই সিদ্ধান্তকে "গ্রাহক এবং দেশের অনুভূতির সম্মান" করার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন। এই সিদ্ধান্ত এমন সময়ে এসেছে যখন বিশ্ব রাজনীতি এবং দেশীয় অগ্রাধিকারের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা অনেক প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চুক্তি বাতিলের কারণ
এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত আনুষ্ঠানিক বিবৃতি অনুসারে, তুরস্কের একটি বিমান সংস্থার সহযোগী প্রতিষ্ঠানের সাথে রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তিটি প্রযুক্তিগতভাবে বাতিলের পর্যায়ে ছিল। তবুও, কোম্পানি স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, ভবিষ্যতে এই সেবা তুরস্কে চালু থাকবে না। সিইও উইলসন মিডিয়ার সাথে আলাপচারিতায় বলেছেন যে, কোম্পানির উদ্দেশ্য হল প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও গ্রাহকদের আস্থা বজায় রাখা। তবে, তিনি কোনো রাজনৈতিক ঘটনার স্পষ্ট উল্লেখ করেননি, তবে সূত্র অনুসারে, এই সিদ্ধান্ত তুরস্কের কিছু সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে নেওয়া হয়েছে।
দেশীয় ক্ষমতার উপর জোর
এয়ার ইন্ডিয়া এখন তাদের বিমানের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিকল্প সমাধান খুঁজছে। এর মধ্যে ভারতের ভেতরে এমআরও (রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত এবং ওভারহল) সুবিধা বৃদ্ধি এবং নির্ভরযোগ্য অংশীদার দেশে মেরামত কাজ করানোর পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কোম্পানির বিশ্বাস, এতে ভারতের বিমানন শিল্পে আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পাবে।
বিমানন শিল্পের সাথে যুক্ত বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি এয়ার ইন্ডিয়ার মতো প্রধান বিমান সংস্থাগুলি দেশীয় রক্ষণাবেক্ষণের উপর জোর দেয়, তাহলে ভারতের এমআরও শিল্প উৎসাহিত হবে। এখন পর্যন্ত এই ক্ষেত্রটি তুলনামূলকভাবে ছোট এবং সীমিত ক্ষমতার, কিন্তু এই সিদ্ধান্তের পরে এতে বিনিয়োগ ও দক্ষতা বিকাশের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে।