সালমান খানের ‘সিকান্দর’ মাত্র 6 দিনেই বক্স অফিসে দুর্বল হতে শুরু করেছে। এখন ছবিটির জন্য আরও কয়েক কোটি টাকা আয় করাও একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: সালমান খানের অতি প্রতীক্ষিত ছবি ‘সিকান্দর’ ৩০শে মার্চ সিনেমাহলে মুক্তি পেয়েছে। এ. আর. মুরুগাদোস পরিচালিত এই রাজনৈতিক অ্যাকশন ড্রামা ছবিটি বিশাল বাজেট, তারকাখচিত অভিনয়শিল্পী এবং তীব্র প্রচারণার পরও দর্শকদের মন জয় করতে ব্যর্থ হয়েছে। মুক্তির প্রথম তিন দিন ছবিটি বেশ ভালো সাড়া পেলেও, চতুর্থ দিন থেকে এর গতি অত্যন্ত ধীর হয়ে গেছে। ছয় দিনে ছবিটি প্রায় ১০০ কোটি টাকার কাছে পৌঁছেছে, কিন্তু প্রতিদিনের আয় কমতে কমতে চলেছে।
‘সিকান্দর’র দৈনিক বক্স অফিস রিপোর্ট
স্যাকনিল্কের রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘সিকান্দর’ প্রথম দিন ঝড়ের বেগে ২৬ কোটি টাকা আয় করে। দ্বিতীয় দিন এর আয় বেড়ে ২৯ কোটি টাকা হয়। কিন্তু তৃতীয় দিন ১৯.৫ কোটি টাকায় ছবির গতি কিছুটা ধীর হয়ে যায়। চতুর্থ দিন ৯.৭৫ কোটি এবং পঞ্চম দিন মাত্র ৬ কোটি টাকা আয় করতে পারে। এখন ষষ্ঠ দিন অর্থাৎ শুক্রবার ছবিটি মাত্র ৩.৭৫ কোটি টাকা আয় করেছে। এভাবে ‘সিকান্দর’র ছয় দিনের মোট আয় প্রায় ৯৪ কোটি টাকা হয়েছে।
১০০ কোটি ক্লাবে প্রবেশ একটি চ্যালেঞ্জ
যদিও ‘সিকান্দর’ ১০০ কোটির খুব কাছে, কিন্তু ছবির কমতে থাকা গতি দেখে মনে হচ্ছে এই ক্লাবে এর প্রবেশও কঠিন হতে চলেছে। সালমান খানের এই ছবিতে ভব্য সেট, অ্যাকশন-প্যাকড গল্প এবং রশ্মিকা মন্দানার মতো জনপ্রিয় অভিনেত্রীর অংশগ্রহণ ছিল, তবুও দর্শকদের কাছে এই প্যাকেজ তেমন আকর্ষণীয় হয়নি। ছবির গল্প এবং চিত্রনাট্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে, যা এর আয়ের উপর প্রভাব ফেলছে।
নির্মাতাদের উদ্বেগ বেড়েছে, বাজেট উদ্ধার করা কঠিন হয়ে উঠছে
জানা গেছে ‘সিকান্দর’র বাজেট প্রায় ২০০ কোটি টাকা। তাই যদি ছবির আয় এইভাবেই কমতে থাকে, তাহলে বাজেট উদ্ধার করাও কঠিন হবে। নির্মাতাদের উদ্বেগ বেড়ে গেছে যে, সপ্তাহান্তেও যদি ছবিটি ভালো পারফরম্যান্স না করে, তাহলে এটি একটি বড় ধাক্কা পেতে পারে। এখন শুধুমাত্র শনিবার এবং রবিবারের উপর আশা রয়েছে, যেখানে ছবিটির স্থিতি উন্নত করার একটি শেষ সুযোগ থাকবে।
প্রশংসকরা সালমানের কাছে উন্নত মানের সামগ্রীর আশা করছেন
সালমান খানের অনুরাগীরা তার ছবি নিয়ে সবসময় উত্তেজিত থাকে, কিন্তু এখন দর্শকদের আশা শুধুমাত্র তারকাশক্তিতে নয়, বরং শক্তিশালী কন্টেন্টের সাথেও জড়িত। ‘সিকান্দর’র বর্তমান পারফরম্যান্স ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, শুধুমাত্র বড় নাম এবং সাধারণ সূত্রের ছবি এখন বক্স অফিসে টিকে থাকতে পারছে না। আগামী সপ্তাহান্তে যদি ছবিটি কিছুটা গতি পায় তাহলে হয়তো এটি ১০০ কোটি টাকার সীমা অতিক্রম করতে পারে, নয়তো সালমানের কর্মজীবনের এই ছবিটিও গড়ের তালিকায় যুক্ত হবে।
