হলিউডের নতুনতম হরর ছবি ‘ফাইনাল ডেস্টিনেশন: ব্লাডলাইন্স’, যা ফাইনাল ডেস্টিনেশন সিরিজের ষষ্ঠ পর্ব, বর্তমানে বক্স অফিসে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করছে।
Final Destination 6 Worldwide Collection: হলিউডের জনপ্রিয় হরর সিরিজ ‘Final Destination’ এর ষষ্ঠ পর্ব ‘Final Destination: Bloodlines’ সিনেমাঘরে তুমুল সাড়া ফেলে দিয়ে মাত্র ৯ দিনে ১২০০ কোটি টাকার অভূতপূর্ব আয় করেছে। এই ছবিটি শুধুমাত্র ভয়ের জন্য নয়, বরং গল্প, পরিচালনা এবং দর্শকদের সাথে মানসিক সংযোগের কারণে বিশ্বব্যাপী বক্স অফিসে নিজের দাপট দেখাচ্ছে। ভারতেও এই ছবিটি অসাধারণ সাড়া পেয়েছে এবং হররপ্রেমী দর্শকদের কাছে এটি বেশ পছন্দের হয়ে উঠেছে।
৯ দিনে বক্স অফিসে ব্লকবাস্টার সাফল্য
১৫ মে ২০২৫-এ মুক্তিপ্রাপ্ত ‘Final Destination: Bloodlines’ প্রথম দিন থেকেই বক্স অফিসে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। মুক্তির প্রথম দুই দিনেই এটি ২০০ কোটি টাকার বেশি আয় করেছে এবং ৯ম দিনের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ১২০০ কোটি টাকার মাইলফলক অতিক্রম করেছে। এই আয় এতটাই প্রভাবশালী যে এটি টম ক্রুজের ‘Mission: Impossible 8’ এর মতো অনেক নামী ছবির আয়কেও ছাড়িয়ে গেছে।
ভারতেও ‘ব্লাডলাইন্স’ এর জাদু
ভারতে হরর ছবির দর্শক সংখ্যা সীমিত, কিন্তু ‘ব্লাডলাইন্স’ সেই ধারণাকে ভেঙে দিয়েছে। এই ছবিটি হিন্দি, ইংরেজি, তামিল এবং তেলুগু ভাষায় মুক্তি পেয়েছে এবং ভারতীয় দর্শকরা এটিকে প্রশংসা করেছেন। ভারতে এখন পর্যন্ত এই ছবিটি ৩৪.৮৫ কোটি টাকা আয় করেছে। ভারতে দৈনিক আয় নিম্নরূপ:
- প্রথম দিন - ৪.৫
- দ্বিতীয় দিন - ৫.৩৫
- তৃতীয় দিন - ৬.০
- চতুর্থ দিন - ৬.৬
- পঞ্চম দিন - ২.৭৫
- ষষ্ঠ দিন - ২.৮৫
- সপ্তম দিন - ২.৪২
- অষ্টম দিন - ২.৩৮
- নবম দিন - ১.৯৮
- মোট - ৩৪.৮৫
ছবির গল্প কী?
‘Final Destination: Bloodlines’ এর গল্প সময়ের পর্দার আড়ালে লুকিয়ে থাকা রহস্য উন্মোচন করে। এই ছবিটি ১৯৬৮ সালে শুরু হয়, যেখানে একজন নারী আইরিস ক্যাম্পবেল ‘স্কাইভিউ’ নামক উঁচু রেস্তোরাঁ টাওয়ারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। হঠাৎ, আইরিস একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনার পূর্বাভাস পান – তিনি দেখেন যে টাওয়ারটি ভেঙে পড়তে যাচ্ছে এবং কয়েকশ লোক মারা যাবে।
তার ভয় সত্যি হয়ে ওঠে, কিন্তু তিনি সময়মতো সতর্ক করে অনেকের প্রাণ বাঁচিয়ে দেন। কিন্তু এর পর থেকে তার এবং তার পরিবারের জীবন আর কখনো স্বাভাবিক হয় না। মৃত্যু তাদের উপর প্রতিশোধ নিতে শুরু করে, কারণ তারা তার পরিকল্পনায় হস্তক্ষেপ করেছিল।
গল্প বর্তমান সময়ে ফিরে আসে, যেখানে আইরিসের নাতনী তার দাদীর উত্তরাধিকারের সাথে জড়িত ভয়ানক সত্য জানতে পারে এবং একবার আবার মৃত্যুর চক্রে আটকে পড়ে।
ছবিটি কেন এত বিশেষ?
- গল্পের গভীরতা – ফাইনাল ডেস্টিনেশন সিরিজের এই ছবিটি শুধুমাত্র একটি ভয়ানক অভিজ্ঞতা নয়, বরং ভাগ্য এবং মৃত্যুর শক্তির সাথে লড়াইয়ের একটি রোমাঞ্চকর গাথা।
- দৃশ্যমান প্রভাব এবং সাউন্ড ডিজাইন – ছবিটির ভিএফএক্স এবং হরর ইফেক্টস দর্শকদের তাদের আসনে আটকে রাখে।
- মানসিক ভয় – এই ছবিটি শুধুমাত্র ‘জাম্প স্কেয়ার’ নয়, বরং ধীরে ধীরে বাড়তে থাকা ভয় তৈরি করে, যা দীর্ঘদিন দর্শকদের মনে থেকে যায়।
- নস্টালজিয়া ফ্যাক্টর – দীর্ঘদিন পর ফাইনাল ডেস্টিনেশনের ফিরে আসা পুরোনো অনুরাগীদের আবার থিয়েটারে টেনে এনেছে।
টম ক্রুজের অ্যাকশন ছবি ‘Mission: Impossible – Dead Reckoning Part Two’ (MI-8) কে ছাড়িয়ে ‘ব্লাডলাইন্স’ স্পষ্ট করে দিয়েছে যে হরর ছবিরও বিশ্বব্যাপী বক্স অফিসে প্রভাব থাকতে পারে। যদি এই গতি অব্যাহত থাকে, তবে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এই ছবিটি ‘Avengers: Endgame’ এর মতো সুপারহিট ছবির তালিকায় স্থান পেতে পারে।