সেনাবাহিনীর চাপে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ইউনুস

🎧 Listen in Audio
0:00

বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ইউনুসের উপর সেনাবাহিনীর চাপ বৃদ্ধি। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবী, শাহবাগে ইউনুস সমর্থকদের বিক্ষোভ। দেশে গভীর রাজনৈতিক সংকট।

বাংলাদেশের রাজনীতি: প্রায় ১৭ কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশ আবারও গুরুতর রাজনৈতিক সংকটের মুখে পড়েছে। রাজধানী ঢাকায় বিরোধী দল, শ্রমিক সংগঠন ও নাগরিক সংগঠন সরকারবিরোধী বিক্ষোভ আরও তীব্র করেছে। এবার কেন্দ্রে নোবেল শান্তি পুরষ্কার বিজয়ী ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস, যার নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ইউনুস ছাড়া নির্বাচন, ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা নিয়ে সেনাবাহিনী কঠোর সতর্কতা জারি করেছে এবং দেশে আবারও গণতন্ত্র বনাম স্বৈরশাসনের বিতর্ক শুরু হয়েছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উত্থান এবং ইউনুসের আবির্ভাব

গত বছর বাংলাদেশে ব্যাপক ছাত্র আন্দোলন ও দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভের পর শেখ হাসিনার সরকারকে পদত্যাগ করতে হয়। এরপর ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে প্যারিস থেকে মোহাম্মদ ইউনুসকে ডেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ইউনুসের নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ ছিল কারণ তিনি আন্তর্জাতিক মুখ এবং নোবেল পুরষ্কারের মতো সম্মান অর্জন করেছেন। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই ইউনুসের নেতৃত্ব নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।

সেনাবাহিনীর কঠোর অবস্থান, ইউনুসকে ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে নির্বাচনের দাবী

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট করে বলেছেন যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র নির্বাচন অনুষ্ঠান, নয় নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া। তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন যে যদি সময়মতো নির্বাচন না করা হয় এবং সেনাবাহিনীকে কৌশলগত বিষয় থেকে দূরে রাখা হয়, তাহলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। সেনাবাহিনী বলেছে যে তারা কোনও স্বৈরশাসন বা জনবিরোধী কর্মকাণ্ড সহ্য করবে না।

ইউনুসের 'প্ল্যান বি': রাজপথে শক্তি প্রদর্শন

সেনাবাহিনীর এই সতর্কবার্তার পর ইউনুস ক্ষমতায় থাকার জন্য এখন রাজপথের শক্তিতে আস্থা রেখেছেন। তার উগ্র সমর্থক সংগঠন যেমন জামায়াত-ই-ইসলামি ও হিফাজাত-ই-ইসলাম শাহবাগ চত্ত্বরে বড় মিছিলের ঘোষণা দিয়েছে। এই মিছিলের নাম দেওয়া হয়েছে "March for Yunus"। এতে 'পাঁচ বছর ইউনুসকে ক্ষমতায় রাখা হোক' এবং 'প্রথম সংস্কার, তারপর নির্বাচন' ইত্যাদি স্লোগান দেওয়া হচ্ছে।

শাহবাগ: প্রতিবাদ ও সমর্থন উভয়েরই প্রতীক

শাহবাগ চত্ত্বর বাংলাদেশের রাজনীতির প্রতীক স্থল। ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে এখানেই জনক্রান্তির কেন্দ্র ছিল। এখন একই স্থান ইউনুসের সমর্থনে উগ্রপন্থী শক্তি ব্যবহার করছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই শক্তি ইউনুসের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ইসলামি রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করছে।

রাজনৈতিক দলের প্রতিক্রিয়া

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) দাবি করেছে যে ইউনুস দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন। অন্যদিকে, জাতীয় নাগরিক দল (এনসিপি) চায় প্রথমে ইউনুসের সংস্কার বাস্তবায়ন করা হোক এবং তারপর নির্বাচন করা হোক।

বিএনপি ইউনুসের মন্ত্রিসভায় ছাত্র নেতাদের অংশগ্রহণের বিরোধিতা করেছে এবং তাদের অপসারণের দাবি জানিয়েছে। এদিকে জামায়াত-ই-ইসলামির প্রধান শফিকুর রহমান সকল দলের বৈঠক ডেকে সমস্যার সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন।

ইউনুসের সম্ভাব্য পদত্যাগ: কৌশল নাকি সত্যতা?

মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ইউনুস পদত্যাগের বিষয়ে ভাবছেন। তাঁর উপদেষ্টারা বলছেন, সেনাবাহিনীর প্রতিক্রিয়া ও জনমতের চাপের কারণে ইউনুস এখন নিজেকে এই ভূমিকার জন্য উপযুক্ত মনে করেন না। তবে, এটাকে কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবেও দেখা হচ্ছে যাতে তাঁর সমর্থকরা সক্রিয় থাকেন।

তার উপদেষ্টা ফয়জ তৈয়ব লিখেছেন, "সেনাবাহিনীকে রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। ইউনুস সাহেবকে সংস্কার সম্পূর্ণ করার সময় দেওয়া উচিত।"

সেনাবাহিনীতে অসন্তোষের আভাস?

কিছু রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে সেনাবাহিনীর নিম্নস্তরের কর্মকর্তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি অসন্তুষ্ট। কিছু পত্রিকা বেরিয়েছে যাতে সরকারের উপর সেনাবাহিনীকে बदनाम করার ও জনতার বিরুদ্ধে ব্যবহার করার অভিযোগ আনা হয়েছে। পত্রিকায় লেখা আছে, "এবার আর নয়... সেনাবাহিনী জাতির রক্ষাকারী, কোন জনবিরোধী ষড়যন্ত্রের সহযোগী নয়।"

पूर्व सेना प्रमुख इकबाल करीम भुइयां ने चेताया है कि हालात 2006 जैसे हो सकते हैं, जब सेना समर्थित सरकार ने चुनाव टाल दिए थे और फिर अंतरराष्ट्रीय दबाव में चुनाव कराने पड़े थे।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও পশ্চিমা দেশের অবস্থান

আমেরিকা, ফ্রান্স ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশ ইউনুসকে সমর্থন করেছে, কিন্তু এখন এই সমর্থনও বিতর্কের মধ্যে পড়েছে। ইউনুসের সমালোচক প্রশ্ন তুলেছেন যে যারা আগে শেখ হাসিনাকে 'স্বৈরাচারী' বলে আখ্যায়িত করেছিল, তারা এখন একটি অ-নির্বাচিত সরকারকে কেন সমর্থন করছে।

Leave a comment