২০২২ সালে আলিয়া ভট্ট রণবীর কাপুরের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং ২০২৩ সালে তিনি জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত হন।
मनोरंजन डेस्क: সারা আলি খান অল্প সময়ের মধ্যেই বলিউডে নিজের একটা স্বতন্ত্র পরিচয় তৈরি করেছেন। নিজের ছবি এবং স্পষ্টবাদী স্বভাবের জন্য পরিচিত সারা সম্প্রতি আলিয়া ভট্ট সম্পর্কে দেওয়া একটা বক্তব্যের কারণে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এক সময় তিনি আলিয়া ভট্টকে নিয়ে ঈর্ষান্বিত ছিলেন।
যখন আলিয়া ভট্টের সাফল্য দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ে উঠলেন সারা
এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সারা আলি খান প্রকাশ করেছেন যে, যখন আলিয়া ভট্ট জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন, তখন তিনি কিছুটা অনিরাপদ বোধ করেছিলেন। তিনি বলেছেন, "যখন আলিয়া জাতীয় পুরস্কার পেলো, তখন আমি ভাবছিলাম, ভগবান, এদের পুরস্কারও মিললো, সন্তানও হলো আর জীবনটাও পুরোপুরি সুন্দর।"
যদিও পরে সারা জানিয়েছেন যে, তিনি বুঝতে পেরেছেন প্রত্যেকের জীবনে নিজস্ব যাত্রা থাকে এবং প্রতিটি সাফল্যের পিছনে সংগ্রামও থাকে। তিনি বলেছেন, "আমি বুঝতে পারছিলাম না তারা এগুলো পেতে কতটা পরিশ্রম ও সংগ্রাম করেছে। একজন অভিনেত্রী হিসেবে আমি অমানবিক হয়ে উঠেছিলাম। আমরা কখনো জানতে পারি না কে কতটা সংগ্রাম করছে এবং কত निराশার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। প্রত্যেকটি বিষয়ের দুটি দিক থাকে।"
আলিয়া ভট্টের সাফল্যের গল্প
২০২২ সালে আলিয়া ভট্ট রণবীর কাপুরের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সেই বছরই তিনি তাঁদের কন্যা রাহাকে জন্ম দেন। ২০২৩ সালে সঞ্জয় লীলা বনশালীর ছবি 'গঙ্গুবাঈ কাঠিয়াওয়াড়ি' -এর জন্য আলিয়া জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন। এই ছবিতে তাঁর অসাধারণ অভিনয়ের প্রশংসা করা হয়েছিল।
সারা আলি খানের চলচ্চিত্র জীবন
সারা আলি খান ২০০৮ সালে সুশান্ত সিং রাজপুতের সাথে 'কেদারনাথ' ছবি দিয়ে বলিউডে অভিষেক হয়। এরপর তিনি বেশ কিছু হিট ছবিতে অভিনয় করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে 'সিম্বা', 'লাভ আজ কাল', 'কুলি নম্বর ১', 'অতরঙ্গী রে', 'গ্যাসলাইট', 'জরা হাটকে জরা বচকে', 'মার্ডার মুবারক', 'এক ওয়াতান মেরে ওয়াতান' এবং 'স্কাই ফোর্স'।
কি সারাও আলিয়ার পথে চলবেন?
সারা আলি খান যদিও আলিয়ার সাফল্যে প্রভাবিত হয়েছেন, তবুও তাঁর চলচ্চিত্র জীবনও চমৎকার। তিনি বিভিন্ন ধরণের চরিত্রে অভিনয় করে নিজেকে একজন বহুমুখী অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। আগামীতে তাঁর আরও বেশ কিছু বড় ছবি মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে, যা তাঁর ভক্তদের কাছে অনেক আশা জাগিয়েছে।
সারার এই বক্তব্য বোঝায় যে, ইন্ডাস্ট্রিতে একে অপরের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হওয়া এবং ঈর্ষান্বিত হওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু সারা এটাকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন এবং নিজেকে আরও উন্নত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।