ইশিকা তনেজা একজন ভারতীয় অভিনেত্রী এবং প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া। তিনি বলিউডে ‘ইন্দু সরকার’ ছবি দিয়ে অভিষেক করেছিলেন। এছাড়াও, বিক্রম ভট্ট পরিচালিত ‘হদ’ ওয়েব সিরিজেও অভিনয় করেছেন। ইশিকা কেবল অভিনয়ের জগতেই নয়, সৌন্দর্য শিল্পেও নিজের পরিচয় তৈরি করেছেন।
বিনোদন: প্রয়াগরাজের কুম্ভমেলায় বিশ্বাসের স্নান করতে বহু চলচ্চিত্র তারকা উপস্থিত হচ্ছেন। এই সময় কিছু অভিনেত্রীর নাম বিশেষ আলোচনায় আছে। তাদের মধ্যে প্রথম নাম মমতা কুলকর্ণী, যাকে কিন্নর আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর নিযুক্ত করা হয়েছিল, যদিও পরে তাকে পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। এছাড়াও, ৩০ বছর বয়সী অভিনেত্রী ইশিকা তনেজা আধ্যাত্মিক পথে চলার ঘোষণা করেছেন।
গ্ল্যামারের জগতে বিশেষ পরিচিতি অর্জনকারী ইশিকা তনেজা এখন শ্রী লক্ষ্মী হয়ে সনাতন ধর্মের প্রচার-প্রসারের প্রতিজ্ঞা করেছেন। অভিনয় জীবনকে বিদায় জানানো ইশিকার কথা, তিনি নিজেকে সাধ্বী নন, বরং সনাতনী মনে করেন। তার এই সিদ্ধান্ত সোশ্যাল মিডিয়া এবং চলচ্চিত্র জগতে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।
ইশিকা তনেজা কে?
মিস ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম এবং মিস ইন্ডিয়া খেতাব জয়ী ইশিকা তনেজা শোবিজের জগতের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ইন্সটাগ্রামে তার ১.৬ মিলিয়ন ফলোয়ার তার জনপ্রিয়তার পরিচয় দেয়। ২০২৬ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী তাকে "ভারতের ১০০ সফল নারী" বিভাগে রাষ্ট্রপতি পুরস্কারে সম্মানিত করেন।
যদিও ইশিকা চলচ্চিত্র জগতে কম প্রোজেক্ট করেছেন, তবে তার কাজ সর্বদা প্রশংসিত হয়েছে। ২০১৭ সালে তিনি বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মধুর ভন্ডারকরের ‘ইন্দু সরকার’ ছবিতে অভিনয় করেন। তার চরিত্র দর্শক ও সমালোচকদের কাছে বেশ পছন্দের হয়েছিল। এরপর ইশিকা বিক্রম ভট্টের ‘হদ’ ওয়েব সিরিজেও অভিনয় করেন, যার মাধ্যমে তিনি ওটিটি দর্শকদের কাছে এক বিশেষ পরিচয় তৈরি করেন।
গিনেজ বুকে আছে ইশিকা তনেজার নাম
চলচ্চিত্র জগতে নিজের পরিচয় তৈরি করার পাশাপাশি ইশিকা তনেজার নাম গিনেজ বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসেও আছে। তিনি ৬০ মডেলের উপর ৬০ মিনিটের মধ্যে ৬০ টি ফুল-ফেস এয়ারব্রাশ মেকআপ করে এই অনন্য রেকর্ড গড়েছিলেন। এই সাফল্য তাকে আন্তর্জাতিক খ্যাতি এনে দেয়। যদিও ইশিকা অভিনয় থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন, তবে তিনি নিজেকে সাধ্বী নয় বরং সনাতনী বলে উল্লেখ করেছেন। এখন তার উদ্দেশ্য সনাতন ধর্মের প্রচার করা।
মিডিয়ার এক প্রতিবেদনের অনুযায়ী, ইশিকা বলেছেন, যদি তাকে ধর্ম প্রচারের সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে তিনি ধর্মীয় চলচ্চিত্র নির্মাণের কথা অবশ্যই ভাববেন। তার এই সিদ্ধান্ত ফ্যান এবং ইন্ডাস্ট্রি উভয়ের মধ্যেই আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।
