শাহরুখ খানের স্ত্রী এবং বিখ্যাত ইন্টেরিয়র ডিজাইনার গৌরী খান মুম্বাইয়ের দাদার পশ্চিমে অবস্থিত তাঁর বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টটি ১১.৬১ কোটি টাকায় বিক্রি করেছেন। ২০২২ সালের আগস্ট মাসে তিনি এটি ৮.৫ কোটি টাকায় কিনেছিলেন, যার ফলে এর মূল্য ৩৭% বৃদ্ধি পেয়েছে।
মনোরঞ্জন ডেস্ক: বিখ্যাত ইন্টেরিয়র ডিজাইনার এবং শাহরুখ খানের স্ত্রী গৌরী খান সম্প্রতি মুম্বাইয়ের দাদার পশ্চিমে অবস্থিত তাঁর একটি বিলাসবহুল আবাসিক অ্যাপার্টমেন্ট ১১.৬১ কোটি টাকায় বিক্রি করেছেন। এটি সেই সম্পত্তি, যা তিনি ২০২২ সালের আগস্ট মাসে ৮.৫ কোটি টাকায় কিনেছিলেন। মাত্র তিন বছরে এই অ্যাপার্টমেন্টের দাম ৩৭% বৃদ্ধি পেয়েছে। মহারাষ্ট্রের মহানির্দেশক নিবন্ধন (IGR) এর ওয়েবসাইটে উপলব্ধ সম্পত্তি দলিল অনুযায়ী, এই লেনদেনটি ২০২৫ সালের মার্চ মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধিত হয়েছে। আসুন জেনে নেই এই সম্পত্তি এবং এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে।
মুম্বাইয়ের সেরা অবস্থানে অবস্থিত এই অ্যাপার্টমেন্ট
মুম্বাইয়ের দাদার পশ্চিমে অবস্থিত এই সম্পত্তি শহরের সেরা অবস্থানগুলির মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচিত। এই এলাকাটি এর চমৎকার যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য বিখ্যাত। এখান থেকে পশ্চিম এবং কেন্দ্রীয় রেলপথ লাইনের পাশাপাশি, পূর্ব এবং পশ্চিম এক্সপ্রেস হাইওয়েতে সহজেই যাওয়া যায়। তদুপরি, এই এলাকাটি শিবাজী পার্ক, প্রভাদেবী, মাতুঙ্গা এবং বর্লির মতো প্রধান অবস্থানগুলির কাছে অবস্থিত, যা এটিকে বসবাসের জন্য একটি চমৎকার বিকল্প করে তোলে।
কোহিনুর আল্টিসিমো বিল্ডিংয়ে ছিল গৌরী খানের ফ্ল্যাট
গৌরী খান কর্তৃক বিক্রি করা এই অ্যাপার্টমেন্টটি কোহিনুর আল্টিসিমো বিল্ডিংয়ে অবস্থিত। এই প্রকল্পটি কোহিনুর CTNL ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড কর্তৃক নির্মিত এবং এটি একটি রেডি-টু-মুভ আবাসিক প্রকল্প। এই বিল্ডিংয়ে ২.৫ BHK, ৩ BHK এবং ৩.৫ BHK এর মতো বিভিন্ন ইউনিট উপলব্ধ।
গৌরী খানের এই অ্যাপার্টমেন্টটি ১৮৪.৪২ বর্গমিটার (প্রায় ১,৯৮৫ বর্গফুট) জুড়ে ছিল, যার মধ্যে ১,৮০৩.৯৪ বর্গফুট (প্রায় ১৬৭.৫৫ বর্গমিটার) কার্পেট এলাকা অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই লেনদেনে দুটি কার পার্কিং স্পেসও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
৮.৫ কোটিতে কেনা সম্পত্তি, ১১.৬১ কোটিতে বিক্রি
গৌরী খান ২০২২ সালের আগস্ট মাসে এই সম্পত্তিটি ৮.৫ কোটি টাকায় কিনেছিলেন। মাত্র তিন বছরে এই অ্যাপার্টমেন্টের দাম ৩৭% বৃদ্ধি পেয়ে ১১.৬১ কোটি টাকা হয়েছে, যা এই লেনদেনটিকে একটি চমৎকার লাভজনক বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
বর্ধমান সম্পত্তির মূল্যের পিছনে কারণ
এই সম্পত্তির মূল্য এত দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ার পিছনে অনেক কারণ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। মুম্বাইতে রিয়েল এস্টেট বাজার ক্রমাগত দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিশেষ করে প্রধান অবস্থানগুলিতে সম্পত্তির চাহিদা ক্রমাগত বজায় রয়েছে। তদুপরি, কোহিনুর আল্টিসিমোর মতো উচ্চমানের বিল্ডিংগুলিতে সুযোগ-সুবিধা এবং অবস্থানের কারণে দাম ক্রমাগত বাড়ছে। গৌরী খানের এই সম্পত্তি বিনিয়োগ থেকে স্পষ্ট যে রিয়েল এস্টেট খাতে বুদ্ধিমত্তার সাথে বিনিয়োগ করা হলে, এটি বেশ লাভজনক হতে পারে।
