আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে, উপরাষ্ট্রপতি কমলা হ্যারিস তাঁর প্রচারণায় পুরোদমে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। তিনি নির্বাচনী মঞ্চ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন, যেখানে তিনি অশ্বেত সম্প্রদায়ের দৈনন্দিন জীবনে রয়েছে এমন বর্ণবাদী বৈষম্যের সমস্যাটি উন্মোচন করেছেন।
ওয়াশিংটন: আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির রাষ্ট্রপতি পদের প্রার্থী কমলা হ্যারিস বৈষম্যমূলক প্রয়োগ নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন যে, রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প কঠোর পুলিশিংকে ‘সংস্থাগত’ করার চেষ্টা করতে পারেন, যার ব্যাপক প্রভাব দেশজুড়ে অশ্বেত পুরুষদের উপর পড়বে।
হ্যারিস বলেছেন যে, এই পরিস্থিতি কেবল বৈষম্যকেই বাড়াবে না, বরং সমাজে हिंसा এবং উত্তেজনাকেও বাড়িয়ে তুলতে পারে। তিনি আরও বলেছেন যে, তাঁর প্রশাসনে न्याय এবং সমতা নিশ্চিত করার জন্য কঠোর আইন প্রয়োগ করা হবে, যা বর্ণবাদী বৈষম্য দূর করতে সাহায্য করবে।
অশ্বেত লোকদের সাথে হচ্ছে এই বৈষম্য - কমলা হ্যারিস
কমলা হ্যারিস ‘দ্য ব্রেকফাস্ট ক্লাব’ রেডিও অনুষ্ঠানের উপস্থাপক চার্লাম্যাগনের সাথে আলাপচারিতায় স্পষ্ট করে বলেছেন যে, তিনি মারিজুয়ানাকে অপরাধের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য কাজ করবেন। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, এই পদক্ষেপটি বিশেষ করে অশ্বেত সম্প্রদায়ের উপর পড়া নেতিবাচক প্রভাব কমাতে সাহায্য করবে, কারণ এই কারণে এই সম্প্রদায়ের লোকেদের সবচেয়ে বেশি গ্রেফতার করা হয়।
হ্যারিস এটাও স্বীকার করেছেন যে, অশ্বেত মানুষদের দৈনন্দিন জীবনে বর্ণবাদী বৈষম্য রয়েছে এবং তিনি এই বিষয়টিতে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন। অন্যদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প জর্জিয়ায় ‘ফক্স নিউজ’-এর একটি অনুষ্ঠানে নারীদের ইস্যুতে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেছেন। এভাবে, নির্বাচনী প্রচারণায় উভয় প্রার্থীই নিজ নিজ দৃষ্টিভঙ্গি ও অগ্রাধিকার অনুযায়ী বিষয়গুলি তুলে ধরছেন।
ভোটারদের আকর্ষণে নিয়োজিত হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প
রাষ্ট্রপতি পদের নির্বাচনে চূড়ান্ত ভোটগ্রহণের আগে, কমলা হ্যারিস এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী এলাকায় ভোটারদের উৎসাহিত করার চেষ্টা করছেন যেখানে প্রতিযোগিতা বেশ তীব্র। হ্যারিস যদি নির্বাচনে জয়ী হন, তাহলে তিনি দেশের প্রথম মহিলা রাষ্ট্রপতি হবেন। এই লক্ষ্যকে মাথায় রেখে তিনি নারীদের বিষয়গুলিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন এবং তাদের আকর্ষণ করার জন্য সক্রিয় প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।
অন্যদিকে ট্রাম্প অশ্বেত পুরুষদের বিষয়গুলির প্রতি মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেছেন, বিশেষ করে সেইসব ভোটারদের আকর্ষণ করার চেষ্টা করছেন যারা অতীতে ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকে প্রচুর সমর্থন দিয়েছিল। এই নির্বাচনী পরিবেশে উভয় নেতাই তাঁদের সমর্থকদের উদ্দীপ্ত করার জন্য কৌশল ব্যবহার করছেন, যা থেকে স্পষ্ট হচ্ছে যে এইবারের নির্বাচন কেবল রাজনৈতিক নয়, বরং সামাজিক বিষয়গুলিতেও গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।