নমো ভারত করিডোর: দিল্লি থেকে মেহরট পর্যন্ত সফল ট্রায়াল রান সম্পন্ন

নমো ভারত করিডোর: দিল্লি থেকে মেহরট পর্যন্ত সফল ট্রায়াল রান সম্পন্ন
সর্বশেষ আপডেট: 1 দিন আগে

এনসিআরটিসি দিল্লির সারাই কালে খাঁ থেকে উত্তরপ্রদেশের মোদীপুরম পর্যন্ত সম্পূর্ণ নমো ভারত করিডোরের সফল ট্রায়াল রান সম্পন্ন করেছে।

राष्ट्रीय राजधानी क्षेत्रে পরিবহন ক্রান্তির দিকে একটি ऐतिहासिक পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দিল্লি থেকে উত্তরপ্রদেশের মেহরট পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার দীর্ঘ নমো ভারত করিডোরের সফল ট্রায়াল রান এই महत्वाकांक्षী প্রকল্পের সম্পূর্ণ হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে ট্রেনগুলি দিল্লির সারাই কালে খাঁ থেকে মেহরটের মোদীপুরম পর্যন্ত এক ঘন্টারও কম সময়ে দূরত্ব অতিক্রম করেছে। এটি দেশে প্রথমবারের মতো, যখন এই স্তরের উচ্চ-গতির अर्ध-উচ্চ-গতির র‍্যাপিড রেল এবং মেট্রো সেবা একসাথে পরিচালিত হচ্ছে।

তেজ রফতার ট্রায়াল: সময় এবং প্রযুক্তি উভয়েরই পরীক্ষা

এনসিআরটিসি (ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজন ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন) কর্তৃক পরিচালিত এই ট্রায়ালে ট্রেনগুলি সর্বাধিক ১৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতিতে চালানো হয়েছে। যাত্রার সময় ট্রেনগুলি সমস্ত নির্ধারিত স্টেশনে থামে এবং এই সম্পূর্ণ ট্রায়াল নির্ধারিত সময়সূচী অনুযায়ী হয়েছে। ট্রায়ালের সময় কেবলমাত্র ট্রেনের গতি এবং নির্ভরযোগ্যতার পরীক্ষা করা হয়নি, বরং সম্পূর্ণ সিস্টেমের সমন্বয়েরও ঘনীভূত পরীক্ষা করা হয়েছে। ট্রায়াল রানের সময় মেহরট মেট্রো ট্রেনগুলিও একসাথে চলেছে, যা প্রমাণ করে যে একই অবকাঠামোতে দুটি ভিন্ন ধরণের ট্রেন সেবা সফলভাবে পরিচালনা করা যায়।

নমো ভারত করিডোর কেন বিশেষ

নমো ভারত করিডোরকে কেবলমাত্র একটি পরিবহন মাধ্যম হিসেবে নয়, বরং ভবিষ্যতের জনসাধারণের পরিবহনের সংজ্ঞা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই প্রকল্প বিশ্বমানের প্রযুক্তি সমৃদ্ধ। এতে প্রথমবারের মতো এলটিই-ভিত্তিক ব্যাকবোন নেটওয়ার্কে ইটিসিএস লেভেল ৩ হাইব্রিড সিগন্যালিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। এই প্রযুক্তি প্লাটফর্ম স্ক্রিন ডোরস (পিএসডি)-এর সাথেও সম্পূর্ণ সমন্বিত, যা যাত্রীদের নিরাপত্তা এবং পরিচালনার সুচারুতা নিশ্চিত করে। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে কোনও ম্যানুয়াল হস্তক্ষেপ ছাড়াই ট্রেন পরিচালনা সম্ভব হয়েছে, যা ভারতের জন্য একটি বড় প্রযুক্তিগত সাফল্য।

পূর্বেই অপারেশনাল করিডোরের বড় অংশ

করিডোরের ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ অংশ ইতোমধ্যেই জনগণের জন্য উন্মুক্ত, যাতে ১১টি স্টেশন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই অংশ গাজিয়াাবাদ এবং সাহিবাাবাদের মতো ব্যস্ত এলাকাগুলিকে আচ্ছাদন করে। বাকি অংশগুলি, যার মধ্যে দিল্লির সারাই কালে খাঁ থেকে নিউ অশোক নগর পর্যন্ত ৪.৫ কিলোমিটার অংশ এবং মেহরটে মেহরট সাউথ থেকে মোদীপুরম পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার অংশ অন্তর্ভুক্ত, সেগুলির কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ট্রায়াল এবং ফিনিশিং কাজ দ্রুত অগ্রগতি করছে। এই অনুমান করা হচ্ছে যে ২০২৫ সালের শেষের মধ্যে সম্পূর্ণ করিডোর সম্পূর্ণরূপে যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।

মেহরট মেট্রো: একই প্লাটফর্ম, দুটি সেবা

ভারতে প্রথমবারের মতো এমন ঘটনা ঘটছে যেখানে একই অবকাঠামোতে র‍্যাপিড রেল এবং মেট্রো উভয়েরই পরিচালনা করা হচ্ছে। মেহরট মেট্রোর ২৩ কিলোমিটার দীর্ঘ অংশ, যাতে ১৩টি স্টেশন থাকবে, এই করিডোরের উপর অবস্থিত। এতে ১৮ কিলোমিটার উন্নত এবং ৫ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ অংশ রয়েছে। মেহরট মেট্রোর ট্রায়ালও দ্রুত হচ্ছে এবং এর পরিচালনার প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এই উদ্যোগ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি স্থানীয়দেরকে আন্তঃনগর এবং স্থানীয় উভয় ধরণের সুবিধা একসাথে দেবে।

যাত্রীরা পাবে নতুন অভিজ্ঞতা

নমো ভারত করিডোর সম্পূর্ণরূপে ওয়াটারকুলড, ওয়াই-ফাই সমৃদ্ধ এবং আরামদায়ক ট্রেনে সজ্জিত। এই সেবা দিল্লি, গাজিয়াাবাদ এবং মেহরটের লক্ষ লক্ষ যাত্রীদের জন্য যাত্রাকাল কমিয়ে মাত্র কয়েক মিনিটে পরিবর্তন করবে। যেখানে ঐতিহ্যগত মাধ্যমে এই দূরত্ব প্রায় আড়াই থেকে তিন ঘন্টা সময়ে অতিক্রম করা হতো, সেখানে এখন এটি এক ঘন্টারও কম সময়ে সম্পন্ন করা যাবে। এতে অফিস যাওয়া লোকজন, ব্যবসায়ী এবং শিক্ষার্থীদের ব্যাপক সুবিধা হবে।

পরিবেশ এবং যানবাহনের উভয়কেই সুবিধা

এই প্রকল্প কেবলমাত্র একটি পরিবহন মাধ্যম নয়, বরং পরিবেশ সংরক্ষণের দিকেও একটি বড় উদ্যোগ। উচ্চ-গতির ট্রেন দ্বারা দূষণ কমবে এবং সড়ক যানবাহনের উপর চাপ কমবে। দিল্লি-এনসিআরের মতো এলাকায় বর্ধমান যানবাহন এবং ট্রাফিক জ্যামের সমস্যা মোকাবেলায় এই সেবা নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, इससे প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ লিটার ডিজেল এবং পেট্রোলের সাশ্রয় হবে এবং গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমনও কমবে।

আর্থিক উন্নয়নকেও পাবে প্রসার

নমো ভারত করিডোরের সাথে সংযুক্ত এলাকায় এখন রিয়েল এস্টেট, ছোট ব্যবসা, লজিস্টিকস এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক কার্যকলাপে নতুন গতি পাবে। দিল্লি, গাজিয়াাবাদ এবং মেহরটের মধ্যে দূরত্ব কমে যাওয়ার ফলে শিল্প ও বিনিয়োগকারীরা ব্যাপক লাভবান হবে। মেহরটের মতো শহরগুলি এর থেকে ব্যাপক লাভবান হবে, কারণ এখানে কর্মসংস্থান এবং ব্যবসার নতুন সুযোগ তৈরি হবে।

র‍্যাপিড রেলের সম্প্রসারণ

এনসিআরটিসি এই সফল প্রকল্পের পর এখন সম্পূর্ণ এনসিআর অঞ্চলে এই ধরণের আরও করিডোর তৈরির পরিকল্পনা করছে। ভবিষ্যতে দিল্লি থেকে আলওয়ার, দিল্লি থেকে পানিপত এবং দিল্লি থেকে সোনিপতের মতো রুটেও নমো ভারত ট্রেন চালানো হবে। এতে সমগ্র উত্তর ভারতে একটি শক্তিশালী, টেকসই এবং দ্রুত পরিবহন ব্যবস্থা তৈরি হবে।

```

Leave a comment