বর্তমান বিক্রয়ের ভিত্তিতে অ্যাপল আশা করছে ২০২৫ সালে আইফোনের মাধ্যমে তারা প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার আয় করবে। এছাড়াও, অন্যান্য পণ্য থেকে ৪ থেকে ৬ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত রেভিনিউ আয়ের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
ভারতে অ্যাপলের আইফোনের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা এবং বাড়ন্ত চাহিদার ফলে কোম্পানির মুনাফাও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। দেশের মেট্রো শহরগুলিতে আজকাল অ্যাপল আইফোনের ব্যবহার সাধারণ ঘটনা হয়ে উঠেছে, এবং এটিকে এখন একটি স্ট্যাটাস সিম্বল হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এই বর্ধিত চাহিদার ফলে অ্যাপল ইন্ডিয়া ২০২৪ সালের অর্থবর্ষে ৬৭,১২১.৬ কোটি টাকা আয় করেছে, যা গত বছরের তুলনায় ৩৬ শতাংশ বেশি। কোম্পানির প্রতিবেদন থেকে আরও জানা গেছে ২০২৩ সালে অ্যাপল ২,২২৯ কোটি টাকা মুনাফা করেছিল, যা বর্তমানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২,৭৪৫ কোটি টাকায়।
অ্যাপল ইন্ডিয়ার রেভিনিউ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে
অ্যাপল ইন্ডিয়ার রেভিনিউতে প্রতি বছর অসাধারণ বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে কোম্পানি ভারতীয় বাজারে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ বিক্রয় করেছে। এই বৃদ্ধি কেবলমাত্র এক ত্রৈমাসিকে নয়, বরং সারা বছরের তথ্যে দেখা গেছে, যেখানে ৪৭.৮% বৃদ্ধির সাথে রেভিনিউ ৪৯,৩২১ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। অ্যাপলের এই সাফল্য ভারতীয় ভোক্তাদের মধ্যে এর ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা এবং বাজারের চাহিদাকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরে।
২০২৫ সালে ১১ বিলিয়ন ডলার বিক্রয়ের সম্ভাবনা
বর্তমান বিক্রয়ের তথ্যের ভিত্তিতে অ্যাপল আশা করছে ২০২৫ সালের মধ্যে আইফোনের সাহায্যে তারা প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার রেভিনিউ অর্জন করবে। এছাড়াও, কোম্পানির অন্যান্য প্রধান পণ্য যেমন ম্যাকবুক, আইপ্যাড এবং অন্যান্য ডিভাইস থেকে ৪ থেকে ৬ বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত রেভিনিউ আয়ের অনুমান করা হচ্ছে, যা অ্যাপলের ক্রমবর্ধমান সাফল্যকে আরও বৃদ্ধি করবে।
স্যামসাংয়ের রেভিনিউ এখনও বেশি
যদিও অ্যাপল ইন্ডিয়া রেকর্ড আইফোন বিক্রি করেছে, তবুও তারা স্যামসাংয়ের থেকে পিছিয়ে রয়েছে। Samsung Electronics ২০২৪ সালের অর্থবর্ষে ১.০৩ ট্রিলিয়ন টাকা বিক্রি করেছে, যা গত বছরের ৯৮,৯২৪ কোটি টাকার চেয়ে বেশি। মুনাফার ক্ষেত্রেও স্যামসাং ভালো কর্মক্ষমতা দেখিয়েছে, ২০২৪ সালে তারা ৮,১৮৮ কোটি টাকা মুনাফা করেছে, যা গত বছরের ৩,৪৫২ কোটি টাকার চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি।
আইফোন ১৬-এর পছন্দ, কি মানুষ উৎসাহিত?
অ্যাপল প্রতি বছর তার নতুন আইফোন মডেল নিয়ে বাজারে আসে এবং ২০২৪ সালে কোম্পানি আইফোন ১৬ উপস্থাপন করেছে। আইফোন ১৬-এর ক্যামেরার ডিজাইন আইফোন ১৫ থেকে কিছুটা আলাদা ছিল, যেখানে তির্যক ক্যামেরার পরিবর্তে সোজা ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে।
তবে, সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু ব্যবহারকারী এটিকে সাধারণ অ্যান্ড্রয়েড ফোনের চেয়ে বেশি কিছু মনে করছে না। এর ফলে, অনেক মানুষ এখনও আইফোন ১৫ কে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। তবে, এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক তথ্য প্রকাশিত হয়নি যা থেকে জানা যাবে আইফোন ১৬-এর বিক্রি আইফোন ১৫-এর তুলনায় বেশি হয়েছে কিনা।
