ফেব্রুয়ারীতে ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমানোর পর, এপ্রিলের বৈঠকেও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেটে আরও ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে সাধারণ মানুষকে বড় সুবিধা দিয়েছে। এর ফলে হোম এবং অটো লোনের EMI কম হওয়ার আশা করা হচ্ছে।
নয়াদিল্লি: দেশের অর্থনীতিতে গতি আনার জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) জুন থেকে দীপাবলির মধ্যে ০.৫০% পর্যন্ত রেপো রেট কমিয়ে আনতে পারে। রিপোর্ট অনুযায়ী, আর্থিক নীতি কমিটি (MPC) এর পরবর্তী পর্যালোচনা বৈঠক ৪ থেকে ৬ জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে সাধারণ জনগণের জন্য সুবিধাজনক একটি বড় সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
জানা গেছে, কমিটির মধ্যে ইতিমধ্যেই ০.২৫% কমানোর বিষয়ে সম্মতি হয়ে গেছে, এবং দ্বিতীয় কমিটি আগস্ট বা সেপ্টেম্বরের বৈঠকে হতে পারে। দীপাবলি ২০ অক্টোবর এবং ধারণা করা হচ্ছে এই উৎসব উপলক্ষ্যে RBI সাশ্রয়ী লোন এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধির উপহার দিতে পারে।
দীপাবলির আগে লোনে বড় ছাড় পেতে পারেন
রেপো রেটে ক্রমাগত কমিয়ে সাধারণ মানুষ বড় সুবিধা পাচ্ছে। ফেব্রুয়ারী এবং এপ্রিলের আর্থিক নীতি বৈঠকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) ইতিমধ্যেই দুবার ২৫-২৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে দিয়েছে। এখন আশা করা হচ্ছে আগামী মাসগুলিতে এই সুবিধা আরও বাড়তে পারে।
এসবিআই-এর সাম্প্রতিক একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, জুন এবং আগস্টের আর্থিক পর্যালোচনায় RBI মোট ৭৫ বেসিস পয়েন্ট পর্যন্ত কমাতে পারে। এছাড়াও, ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের দ্বিতীয়ার্ধে অতিরিক্ত ৫০ বেসিস পয়েন্ট ছাড় দেওয়া যেতে পারে। এভাবে পুরো অর্থবর্ষে রেপো রেটে মোট ১২৫ বেসিস পয়েন্ট কমানো সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে। এই পদক্ষেপ দীপাবলি পর্যন্ত সাশ্রয়ী লোন এবং নতুন কর্মসংস্থানের পথ সুগম করতে পারে।
কী হলো রেপো রেট এবং সাধারণ মানুষের সাথে এর সরাসরি সম্পর্ক কেন?
রেপো রেট হল সেই সুদের হার, যার মাধ্যমে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI) দেশের ব্যাঙ্কগুলিকে অল্পকালীন ঋণ প্রদান করে। যখন কোন ব্যাঙ্ককে নগদ অর্থের প্রয়োজন হয়, তখন সে এই হারে RBI থেকে টাকা ধার করে।
প্রতি দুই মাস অন্তর RBI-এর আর্থিক নীতি কমিটি (Monetary Policy Committee - MPC) এর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে রেপো রেটের পর্যালোচনা করা হয়। এই কমিটিতে ছয়জন সদস্য থাকেন - যার মধ্যে তিনজন RBI থেকে এবং তিনজন কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক মনোনীত হন। অর্থবর্ষে মোট ছয়টি বৈঠক নির্ধারিত থাকে।
রেপো রেট কমলে, ব্যাঙ্কগুলো সস্তায় ঋণ পায়, যার প্রভাব সাধারণ ভোক্তাদের উপরও পড়ে। এর ফলে হোম লোন, অটো লোন এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত লোন সস্তা হয়ে যায়। ফলে, আপনার EMIও কমে যায়, যা মানুষকে সরাসরি সুবিধা দেয়।
RBI এই হার পরিবর্তন করে বাজারে মুদ্রার প্রবাহ এবং মূল্যস্ফীতির ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করে, যাতে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।