ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফর: সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ভ্রমণ

ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফর: সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ভ্রমণ
সর্বশেষ আপডেট: 02-04-2025

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প তার কার্যকালে অনেক কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন, যার মধ্যে অভিবাসন ও বাণিজ্যিক শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়গুলি উল্লেখযোগ্য। এই সিদ্ধান্তগুলির পাশাপাশি, ট্রাম্প তার বৈদেশিক নীতিতে পরিবর্তন আনার চেষ্টাও করেছেন।

মুসলিম দেশ ভ্রমণে ডোনাল্ড ট্রাম্প: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প তার আসন্ন বিদেশ ভ্রমণের বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন, যেখানে তিনি সৌদি আরব, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত ভ্রমণ করবেন। ট্রাম্প বলেছেন, এটি তাঁর ক্ষমতায় ফিরে আসার পর প্রথম বিদেশ ভ্রমণ হবে এবং এর সূচনা সৌদি আরব থেকে হতে পারে। তিনি হোয়াইট হাউসে মিডিয়ার সাথে কথা বলে বলেছেন যে, এই ভ্রমণ আগামী মাসে হতে পারে, অথবা কিছুটা দেরিতেও হতে পারে।

সৌদি আরব, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত ভ্রমণ করবেন

সৌদি আরবের সাথে ট্রাম্পের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে, বিশেষ করে যখন তিনি সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে মার্কিন বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। জানুয়ারিতে মোহাম্মদ বিন সালমান মার্কিন বাণিজ্যে ৬০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যা সৌদি আরবের জিডিপির অর্ধেকেরও বেশি। ট্রাম্প বলেছেন, এই বিনিয়োগ মার্কিন কোম্পানিগুলির জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে, কারণ এই কোম্পানিগুলি সৌদি আরব এবং মধ্যপ্রাচ্যে সরঞ্জাম তৈরি করবে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং কাতারও ট্রাম্পের ভ্রমণে অন্তর্ভুক্ত, যাদের সাথে আমেরিকার অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার পরিকল্পনা রয়েছে। ট্রাম্প এই দেশগুলিকে "অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ" বলে উল্লেখ করে বলেছেন যে, এই সম্পর্ক উভয় দেশের স্বার্থের উন্নতি সাধন করতে পারে।

ট্রাম্পের কৌশল কী?

এই ভ্রমণ ট্রাম্পের কৌশলের অংশ, যেখানে তিনি আমেরিকার জন্য নতুন বাণিজ্যিক সুযোগের সন্ধান করছেন এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির সাথে সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করতে চান। সৌদি আরব, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এই বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব আমেরিকায় কর্মসংস্থানের সুযোগ এবং বাণিজ্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ব্যাপক সুবিধা এনে দিতে পারে।

এই ভ্রমণ এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন ট্রাম্প প্রশাসন অনেক আন্তর্জাতিক বিষয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, যার মধ্যে অভিবাসন এবং শুল্ক অন্তর্ভুক্ত। এই অবস্থায় এই ভ্রমণ আমেরিকা-মধ্যপ্রাচ্য সম্পর্ককে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখার সুযোগ দিতে পারে।

Leave a comment