শিলং-এ এক নব্যবিবাহিত মহিলার হত্যার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের কাছ থেকে পিস্তল, কার্তুজ এবং ₹50,000 নগদ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ডিজিটাল প্রমাণগুলিরও তদন্ত করছে।
হনিমুন মার্ডার: মেঘালয়ের রাজধানী শিলং-এ সংঘটিত হনিমুন মার্ডার কেসটি পুরো রাজ্যকে নাড়িয়ে দিয়েছে। এক নব্যবিবাহিত মহিলার রহস্যজনক পরিস্থিতিতে হত্যার ঘটনায় পুলিশ দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। প্রাথমিক তদন্তে যে তথ্যগুলি উঠে এসেছে, তা এই মামলাটিকে আরও গুরুতর করে তুলছে।
দুই অভিযুক্ত গ্রেফতার
পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডে রাজ কুশওয়াহ এবং আকাশ নামক দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। ইস্ট খাসি হিলস জেলার এসপি হারবার্ট পিনায়াদ খারকংগোর-এর মতে, পুলিশ অভিযুক্তদের একটি গাড়ী থেকে একটি পিস্তল, তাজা কার্তুজ এবং পঞ্চাশ হাজার টাকা নগদ উদ্ধার করেছে। দুই অভিযুক্ত জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে যে অস্ত্রগুলি তাদের ব্যাগে রাখা ছিল, যা থেকে স্পষ্ট হয় যে হত্যার পরিকল্পনা আগে থেকেই করা হয়েছিল।
পুলিশের হাতে আসা প্রাথমিক সূত্র
অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূত্র পাওয়া গেছে। পুলিশের ধারণা, এই হত্যাকাণ্ডে শুধু শারীরিক প্রমাণ নয়, ডিজিটাল প্রমাণও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। অভিযুক্তরা দাবি করেছে যে হত্যার পর তারা তাদের ল্যাপটপ এবং অন্যান্য কিছু সামগ্রী নষ্ট করে দিয়েছে। যদিও পুলিশ জানার চেষ্টা করছে যে এই জিনিসগুলি কোথায় ফেলা হয়েছে বা লুকিয়ে রাখা হয়েছে।
ডিজিটাল প্রমাণের খোঁজে পুলিশ
এসপি হারবার্ট জানিয়েছেন, পুলিশ এই ঘটনার গভীরে যেতে চাইছে এবং দেখছে যে আর কোনও প্রমাণ বা ব্যক্তি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছে কিনা। জিজ্ঞাসাবাদের সময় অভিযুক্তরা জানিয়েছে যে তারা ব্যবহৃত ল্যাপটপ এবং অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইসগুলি ফেলে দিয়েছে। এখন পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে সেই স্থানগুলি চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে যেখানে এই জিনিসগুলি থাকতে পারে।
হত্যার পূর্বপরিকল্পনা নাকি আকস্মিক সিদ্ধান্ত?
তদন্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, হত্যাটি পূর্বপরিকল্পিত ছিল নাকি এটি একটি তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত ছিল। পুলিশ সব সম্ভাবনা বিবেচনা করে মামলার তদন্ত করছে। বেশ কয়েকটি দল গঠন করা হয়েছে যারা প্রযুক্তিগত এবং শারীরিক প্রমাণগুলি খতিয়ে দেখছে।
এই অপরাধে আরও কেউ জড়িত ছিল কি?
এ ব্যাপারেও তদন্ত চলছে যে এই হত্যাটি কেবল দুই ব্যক্তির ষড়যন্ত্র ছিল, নাকি এটি বৃহত্তর কোনও ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল। পুলিশ নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে যে অন্য কোনও ব্যক্তি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল কিনা।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই পুরো মেঘালয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য মাধ্যমে এই মামলার দ্রুত এবং নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ন্যায়বিচার দেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে।
পুলিশ হেফাজতে অভিযুক্ত, নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে
পুলিশ দুই অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করে রিমান্ডে নিয়েছে। এখন তাদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এমন প্রতিটি সূত্র বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা থেকে স্পষ্ট হবে যে কী কারণে এবং কীভাবে এই হত্যা সংঘটিত হয়েছে। পুলিশ প্রতিটি দিক গভীরভাবে খতিয়ে দেখছে।