মন্দিরের পাশে সাধু ও ইঁদুরের গল্প: শিক্ষা

🎧 Listen in Audio
0:00

মন্দিরের পাশে একটি কুঁড়েঘরে এক সাধু বাস করতেন। একদিন একটি ইঁদুর সেখানে ঢুকে সাধুর খাবার চুরি করতে শুরু করে। সাধু খাবার লুকানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু ইঁদুর তা খুঁজে বের করত। একদিন এক বিদ্বান পণ্ডিত সাধুর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। সাধু একটি লাঠি ধরেছিলেন যাতে তিনি ইঁদুরটিকে মারতে পারেন। কথাবার্তার সময় পণ্ডিত দেখেন যে, সাধুর মন তার কথায় নেই। রেগে গিয়ে পণ্ডিত বললেন, "মনে হচ্ছে তোমার আমার সঙ্গে কথা বলতে কোনো আগ্রহ নেই। তুমি অন্য কোনো চিন্তায় মগ্ন। আমার এখান থেকে চলে যাওয়া উচিত।"

সাধু পণ্ডিতের কাছে ক্ষমা চাইলেন এবং ইঁদুরের সমস্যার কথা বললেন। তিনি বললেন, "ঐ ইঁদুরটাকে দেখো! আমি খাবারের হাঁড়ি যতই উপরে ঝোলাই না কেন, সে সবসময় তা খুঁজে বের করে। এটা আমাকে কয়েক সপ্তাহ ধরে বিরক্ত করছে।" পণ্ডিত সাধুর অসুবিধা বুঝতে পেরে বললেন, "ইঁদুর এত উঁচুতে লাফাতে পারে, কারণ সে খুব শক্তিশালী এবং আত্মবিশ্বাসী। নিশ্চয়ই সে কোথাও খাবার জমা করে রেখেছে। আমাদের সেই জায়গা খুঁজে বের করতে হবে।" দুজনে মিলে ইঁদুরের পিছু নিলেন এবং তার গর্তের সন্ধান পেলেন। সেখানে খুঁড়ে তারা সব খাবার সরিয়ে ফেললেন।

খাবার না থাকার কারণে ইঁদুর দুর্বল হয়ে গেল। সে আবার খাবার জোগাড় করার চেষ্টা করল, কিন্তু কিছুই পেল না। ধীরে ধীরে তার আত্মবিশ্বাসও কমে যেতে লাগল। সে আবার সাধুর কুঁড়েঘরে ঢুকে হাঁড়ি থেকে খাবার চুরি করার চেষ্টা করল, কিন্তু এবার সে উপরে লাফাতে পারল না। সাধু তাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে মারলেন। আহত ইঁদুর নিজের জীবন বাঁচিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে গেল এবং আর কখনো ফিরে আসেনি।

 

গল্প থেকে এই শিক্ষা পাওয়া যায়:

এই গল্প থেকে আমরা এই শিক্ষা পাই যে, শত্রুকে পরাজিত করতে হলে তার শক্তি কমাতে হয়।

Leave a comment