বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক নাজমুল হুসেন শান্ত ক্রিকেট ইতিহাসে একটি বড় এবং ঐতিহাসিক কীর্তি করে দেখিয়েছেন, যা আগে কোনো বাংলাদেশী অধিনায়ক করতে পারেননি।
খেলাধুলার খবর: বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায় যুক্ত হয়েছে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে গ্যাল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্ট ম্যাচে অধিনায়ক নাজমুল হুসেন শান্ত এমন একটি রেকর্ড গড়েছেন যা আগে কোনো বাংলাদেশী অধিনায়ক ছুঁতে পারেননি। শান্ত টেস্ট ম্যাচের উভয় ইনিংসে শতরান করে প্রথম বাংলাদেশী অধিনায়ক হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন।
এই ম্যাচে তিনি প্রথম ইনিংসে চমৎকার ১৪৮ রান করেছিলেন এবং দ্বিতীয় ইনিংসে যখন দলকে স্থিরতার প্রয়োজন ছিল, তখন শান্ত আবারও অসাধারণ খেলা দেখিয়ে অপরাজিত ১২৫ রান করেছেন, শুধুমাত্র প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জই করেননি বরং বাংলাদেশকেও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছেন।
এক ম্যাচ, দুটি শতক: অধিনায়কত্বের প্রকৃত অর্থ
ক্রিকেটে একজন অধিনায়কের কাছ থেকে কেবলমাত্র কৌশল নয়, বরং দলের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবেও আশা করা হয়। এবং ঠিক এটাই করেছেন শান্ত। গ্যাল টেস্টের প্রথম ইনিংসে যখন বাংলাদেশকে প্রারম্ভিক ধাক্কা লেগেছিল, তখন তিনি ধৈর্য্য এবং দক্ষতার প্রদর্শন করে ১৪৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। তারপর যখন দলকে দ্বিতীয় ইনিংসে লিডকে শক্তিশালী করার প্রয়োজন ছিল, তখন শান্ত অপরাজিত ১২৫ রানের ইনিংস খেলে নিশ্চিত করেছিলেন যে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য স্থাপন করতে পারবে।
দ্বিতীয়বার দুই শতকের অসাধারণ কীর্তি
এটি এমন প্রথম ঘটনা নয় যখন শান্ত টেস্টের উভয় ইনিংসে শতরান করেছেন। এর আগে ২০২৩ সালে মিরপুরে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধেও তিনি এই কীর্তি করেছিলেন। কিন্তু তখন তিনি অধিনায়ক ছিলেন না। এবার অধিনায়কত্বের দায়িত্ব তার কাঁধে ছিল এবং তিনি তা খুব ভালোভাবে পালন করেছেন। এই সাফল্যের সাথে শান্ত এখন এক টেস্টে উভয় ইনিংসে শতরান করার ক্ষেত্রে অল্প সংখ্যক এশিয়ান ক্রিকেটারের তালিকায় যুক্ত হয়েছেন। তার সাথে এই ক্লাবে আছেন এই दिग्गजরা:
- অরবিন্দ ডি সিলভা (শ্রীলঙ্কা)
- রাহুল দ্রাবিড় (ভারত)
- সুনীল গাভাস্কার (ভারত)
- কুমার সাঙ্গাকারা (শ্রীলঙ্কা)
- নাজমুল হুসেন শান্ত (বাংলাদেশ)
শ্রীলঙ্কাকে দেওয়া হয়েছে ২৯৬ রানের লক্ষ্য
বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস পঞ্চম দিনে ২৮৫/৪ এ ঘোষণা করা হয়, এরপর শ্রীলঙ্কাকে জয়ের জন্য ২৯৬ রানের লক্ষ্য দেওয়া হয়। যদিও ম্যাচের সময় বিবেচনা করে এই লক্ষ্য অর্জন করা সহজ ছিল না এবং ম্যাচটি ড্রোর দিকে যাচ্ছিল বলে মনে হচ্ছিল। তবুও বাংলাদেশের ব্যাটিং, বিশেষ করে শান্তর পারফরম্যান্স, দলের মানসিক শক্তির ইঙ্গিত দিচ্ছিল।
ম্যাচের পর মিডিয়ার সাথে কথা বলার সময় নাজমুল হুসেন শান্ত বলেছেন: অধিনায়ক হিসেবে এই ইনিংস আমার কাছে বিশেষ। দল যখন প্রয়োজন ছিল, তখন আমার অবদান পাওয়া আমার জন্য গর্বের ব্যাপার। আমার চেষ্টা থাকবে আমি এভাবেই পারফর্ম করব এবং দলকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাব।