ওয়াইট হাউসের সতর্কতা: আতঙ্কবাদ সমর্থকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা, গ্রিন কার্ড বাতিলের আশঙ্কা

🎧 Listen in Audio
0:00

ওয়াইট হাউস ট্রাম্পের এক বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে যে খলিলের গ্রেফতার প্রথম ঘটনা। আতঙ্কবাদ সমর্থক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছাত্রদের বিরুদ্ধে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই ব্যবস্থা নেওয়া হবে, গ্রিন কার্ডধারীদের বহিষ্কার করা হতে পারে।

আমেরিকা: ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন বড় ধরনের ব্যবস্থার ঘোষণা দিয়ে সতর্ক করে দিয়েছে যে যারা আমেরিকার রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘শত্রুতাপূর্ণ কর্মকাণ্ডে’ জড়িত থাকবে তাদের ভিসা ও গ্রিন কার্ড বাতিল করা হতে পারে। এই বিবৃতিটি এমন সময় আসে যখন ইসরাইল-বিরোধী বিক্ষোভে ভূমিকা পালনের অভিযোগে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক মাহমুদ খলিলকে আটক করা হয়।

ওয়াইট হাউস কী বলেছে?

ওয়াইট হাউস রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের বিবৃতিটি প্রকাশ করে বলেছে, “খলিলের গ্রেফতার আরও অনেক গ্রেফতারের প্রথমটি। আমাদের জানা আছে যে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন অনেক ছাত্র আছে যারা আতঙ্কবাদ সমর্থক, ইহুদি-বিরোধী ও আমেরিকা-বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। ট্রাম্প প্রশাসন এটি সহ্য করবে না।”

ভারতীয় গ্রিন কার্ডধারীদের উপর কি বিপদ আছে?

আমেরিকার নাগরিকত্ব ও অভিবাসন সেবা (USCIS)-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ অর্থবর্ষে ভারতীয় আমেরিকানরা আমেরিকান নাগরিকত্ব বা গ্রিন কার্ড পাওয়ার দিক থেকে দ্বিতীয় বৃহত্তম গোষ্ঠী। এই সময়ে ৪৯,৭০০ ভারতীয়কে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের সতর্কবার্তা মূলত আমেরিকায় আতঙ্কবাদী কর্মকাণ্ডে জড়িত হামাস সমর্থকদের লক্ষ্য করে। এটি ব্যাপক নাগরিকত্ব ও অভিবাসন নীতিকে কতটা প্রভাবিত করবে সে বিষয়ে এখনও স্পষ্টতা নেই।

কী কারণে গ্রিন কার্ডধারীদের বহিষ্কার করা হতে পারে?

আমেরিকায় গ্রিন কার্ডধারীদের কিছু আইনি বিধানের আওতায় বহিষ্কার করা হতে পারে। এর প্রধান কারণগুলি নিম্নে দেওয়া হলো—

- যদি কোন ব্যক্তিকে কোন গুরুতর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
- যদি কোন গ্রিন কার্ডধারী কোন আতঙ্কবাদী সংগঠনকে আর্থিক বা অন্য কোন সাহায্য করে।
- যদি সে কোন দেশদ্রোহী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকে যা আমেরিকার নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়।

ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের কী প্রভাব পড়বে?

ট্রাম্প প্রশাসনের এই বিবৃতি আমেরিকায় বসবাসকারী গ্রিন কার্ডধারী ও ভিসাধারীদের মধ্যে উদ্বেগ বৃদ্ধি করেছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে এই ব্যবস্থা তাদের উপর সীমাবদ্ধ থাকবে যারা সরাসরি আতঙ্কবাদী কর্মকাণ্ডে জড়িত। কিন্তু যদি নিয়ম আরও কঠোর করা হয় তাহলে অভিবাসীদের জন্য আমেরিকায় বসবাস করা কঠিন হয়ে উঠতে পারে।

Leave a comment