উত্তরাখণ্ডে নতুন ভূমি পোর্টাল: আইন লঙ্ঘন রোধে কঠোর নজরদারি

🎧 Listen in Audio
0:00

উত্তরাখণ্ডে ভূমি আইন লঙ্ঘনের উপর নজরদারির জন্য নতুন পোর্টাল গঠিত হবে, যা ১৬৪০টি পটোয়ারী-লেখপাল এলাকায় ভূমি ক্রয়-বিক্রয়ের অনলাইন বিবরণ রাখবে। জেলাশাসক মাসিক প্রতিবেদন দেবেন এবং প্রক্রিয়াটি শিল্প ও বিনিয়োগকারীদের জন্য সহজতর হবে।

Uttarakhand Land Law: উত্তরাখণ্ডে ভূমি আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে এখন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজ্য সরকার একটি নতুন ভূমি পোর্টাল তৈরি করেছে, যার মাধ্যমে ভূমি ক্রয়-বিক্রয়ের উপর কঠোর নজরদারি করা হবে। এই পোর্টাল ১৬৪০টি পটোয়ারী-লেখপাল এলাকায় ভূমির ক্রয়-বিক্রয়ের সম্পূর্ণ বিবরণ অনলাইনে রাখবে। এতে শুধুমাত্র আইন লঙ্ঘনের উপর নজর রাখা হবে না, বরং ভূমি ব্যবহারে যে কোনও ধরণের অনিয়মের সন্ধানও সহজেই পাওয়া যাবে।

এই নতুন ভূমি পোর্টালের সুবিধা কি কি?

এই পোর্টালটি NIC (National Informatics Centre)-এর সহযোগিতায় তৈরি করা হচ্ছে এবং রাজস্ব পরিষদের অধীনে কাজ করবে। এর মাধ্যমে রাজ্যজুড়ে সকল পটোয়ারী-লেখপাল এলাকায় ভূমির লেনদেনের বিবরণ সময়মতো আপডেট করা হবে। জেলাশাসক প্রতি মাসে উপজেলাশাসকদের কাছ থেকে প্রতিবেদন নেবেন এবং ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন রাজস্ব পরিষদকে পাঠাবেন, যাতে এটি নিশ্চিত করা যায় যে কোনও ভূমি আইন লঙ্ঘন হয়নি।

নতুন ভূমি আইনের নিয়মাবলী কী কী?

রাজ্য সরকার নতুন ভূমি আইনের আওতায় ভূমি ক্রয় ও ব্যবহারে কঠোর নিয়ম তৈরি করেছে। তবে, বিনিয়োগকারী ও শিল্পপতিদের জন্য প্রক্রিয়াটি সহজতর করা হবে। এটি নিশ্চিত করা হয়েছে যে, শিল্প ব্যবহার, শিক্ষা, হাসপাতাল, হোটেল ইত্যাদি প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে বিনিয়োগকে বাধা দেওয়ার পরিবর্তে উৎসাহিত করা হবে। কিন্তু, মনে রাখতে হবে যে, ভূমি যে উদ্দেশ্যে কেনা হয়েছে, সেই উদ্দেশ্যেই তার ব্যবহার করতে হবে, অন্যথায় ভূমি সরকার কর্তৃক ফিরিয়ে নেওয়া হবে।

ভূমি ক্রয়-বিক্রয়ের নজরদারি

নতুন পোর্টালটি ভূমি ক্রয় এবং ব্যবহার পরিবর্তনের প্রক্রিয়ার নজরদারি করবে। পোর্টালের মাধ্যমে এটি নিশ্চিত করা হবে যে, কোনও ভূমির ভুলভাবে ব্যবহার করা হয়নি। যদি কোথাও ভূমি আইন লঙ্ঘন হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট স্থান বা ভূমির ছবিসহ পোর্টালে তথ্য আপডেট করা যাবে। সকল পটোয়ারী ও লেখপাল এই পোর্টালের সাথে যুক্ত হয়ে এর নজরদারি করবেন।

কি পরিবর্তন আসবে?

রাজস্ব বিভাগ এই পোর্টালের মাধ্যমে পুরানো নিয়মাবলী আপডেট করেছে। এখন ভূমি ব্যবহার পরিবর্তন এবং ভূমি ক্রয়ের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারিত হবে। পাশাপাশি, শিল্পপতিদের কাছ থেকে এটি নিশ্চিত করা হবে যে তারা ৭০% স্থানীয় যুবকদের কর্মসংস্থান দেবে। এই পরিবর্তনগুলি শুধুমাত্র ভূমির ভুল বিক্রয় রোধ করবে না, বরং রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

বিনিয়োগকারীদের জন্য সহজ প্রক্রিয়া

নতুন নিয়মাবলীর আওতায়, শিল্প ব্যবহারের জন্য ভূমি ক্রয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সনদ, শপথপত্র এবং আবেদনের প্রক্রিয়াটিও সহজতর করা হবে। এই সমস্ত পরিবর্তন রাজ্য সরকারের নীতিগুলি মাথায় রেখে করা হয়েছে, যাতে বিনিয়োগকারীদের কোনও ধরণের অসুবিধার সম্মুখীন হতে না হয়।

Leave a comment