উত্তরাখণ্ডে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঘোষণা হয়েছে এবং এর প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন आয়ুক্ত সুশীল কুমার বিস্তারিত কার্যক্রম প্রকাশ করেছেন। রাজ্যে দুই দফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যাতে গ্রাম পর্যায় থেকে জেলা পর্যায়ের প্রতিনিধিদের নির্বাচন অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
দেহরাডুন: উত্তরাখণ্ডে পঞ্চায়েতী লোকতন্ত্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঘোষণা হয়ে গেছে। রাজ্য নির্বাচন आয়ুক্ত সুশীল কুমার শুক্রবার পঞ্চায়েত নির্বাচন ২০২৫-এর তারিখ ঘোষণা করে জানিয়েছেন যে, এবার নির্বাচন দুই দফায় অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার সাথে সাথেই রাজ্যজুড়ে আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর করা হয়েছে, যার ফলে রাজ্যে নির্বাচনী উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।
কোন কোন পদের জন্য নির্বাচন হবে
এবারের নির্বাচনে গ্রাম পর্যায় থেকে জেলা পঞ্চায়েত পর্যন্ত মোট লাখ লাখ ভোটার তাদের প্রতিনিধিদের নির্বাচন করবেন। নির্বাচন आয়োগ কর্তৃক প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী:
- ৭৪,৪৯৯ গ্রাম প্রধান
- ৫৫,৬০০ গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য
- ২,৯৭৪ ক্ষেত্র পঞ্চায়েত সদস্য
- ৩৫৮ জেলা পঞ্চায়েত সদস্য
নির্বাচিত হবেন। এই সকল পদের জন্য হাজার হাজার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে প্রস্তুত এবং গ্রামে গ্রামে নির্বাচনী আন্দোলন দেখা যাচ্ছে।
নির্বাচনী কার্যক্রম: কখন কি হবে?
রাজ্য নির্বাচন आয়োগ কর্তৃক ঘোষিত কার্যক্রম অনুযায়ী, নির্বাচনী প্রক্রিয়া এইভাবে এগিয়ে যাবে:
- ২৩ জুন: জেলা নির্বাচন अधिकारी কর্তৃক বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে।
- ২৫-২৮ জুন: প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন।
- ২৯ জুন - ১ জুলাই: মনোনয়নপত্রের যাচাই করা হবে।
- ২ জুলাই: প্রত্যাহারের শেষ তারিখ।
দুই দফায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে
১. প্রথম দফা
- ৩ জুলাই: নির্বাচনী প্রতীক বণ্টন
- ১০ জুলাই: ভোটগ্রহণ
২. দ্বিতীয় দফা
- ৮ জুলাই: নির্বাচনী প্রতীক বণ্টন
- ১৫ জুলাই: ভোটগ্রহণ
- ১৮ জুলাই: উভয় দফার ভোট গণনা একসাথে হবে।
রাজ্যজুড়ে আচরণবিধি কার্যকর
নির্বাচনের ঘোষণার সাথে সাথেই আদর্শ আচরণবিধি রাজ্যজুড়ে কার্যকর করা হয়েছে। রাজ্য নির্বাচন आয়ুক্ত স্পষ্ট করে বলেছেন যে, কোনও পর্যায়েই নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার চেষ্টা সহ্য করা হবে না। জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা বজায় থাকবে এবং কোনও ধরণের অনিয়ম হবে না।
রাজ্যে নির্বাচনী কার্যক্রম ঘোষণার সাথে সাথেই রাজনৈতিক উত্তেজনা বেড়েছে। গ্রামীণ এলাকায় চা-দোকান থেকে শুরু করে চৌপাড় পর্যন্ত সর্বত্র পঞ্চায়েত নির্বাচনের আলোচনা হচ্ছে। প্রার্থীরা ভোটারদের আকর্ষণ করার জন্য তাদের সাফল্য এবং ভবিষ্যতের পরিকল্পনা নিয়ে প্রচারণা তীব্র করে তুলেছেন। অনেক জায়গায় ‘ডোর টু ডোর’ অভিযান শুরু হয়েছে, যেখানে প্রার্থীরা ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট চাইছেন।