সম্ভল হিংসায় আরও দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একজনকে দিল্লির বাটলা হাউস থেকে এবং অন্যজনকে সম্ভল থেকে ধরা হয়েছে। ঘটনার পর দুষ্কৃতীরা দিল্লি ও উত্তরাখণ্ডে পালিয়ে গিয়েছিল।
Sambhal: সম্ভলে ২৪ নভেম্বর জামা মসজিদের সমীক্ষার সময় হওয়া হিংসার ঘটনায় পুলিশ আরও দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়েছে। এদের মধ্যে একজন ঘটনার পর দিল্লি পালিয়ে গিয়েছিল, যাকে দিল্লির বাটলা হাউস থেকে ধরা হয়েছে। অন্য অভিযুক্ত খগ্গ সরাইয়ের বাসিন্দা রিহানকে নখাছা থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ দু’জনকেই আদালতে পেশ করে, সেখান থেকে তাঁদের জেলে পাঠানো হয়েছে।
মসজিদে সমীক্ষার সময় হিংসা
জামা মসজিদে সমীক্ষার সময় প্রচুর লোক জমা হয়ে গেলে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। ভিড় হঠাৎ করে হিংসাত্মক রূপ নেয় এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া ও গুলি করা শুরু করে। দুষ্কৃতীরা গাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়।
দুষ্কৃতীদের চিহ্নিতকরণ ও গ্রেফতারি
হিংসার পর দুষ্কৃতীরা শহর ছেড়ে দিল্লি ও উত্তরাখণ্ডের দিকে পালিয়ে যায়। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ ও অন্যান্য প্রমাণের ভিত্তিতে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করা শুরু করে। এখনও পর্যন্ত নখাছা ও কোতোয়ালি পুলিশ তিন মহিলা সহ ৪৭ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়েছে। দিল্লি এনসিআর-এ তল্লাশি চালিয়ে বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।
পুলিশ চৌকি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু
হিংসার পর পুলিশ ও জেলা প্রশাসন নিরাপত্তার জন্য কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। যে জামা মসজিদের কাছে হিংসা হয়েছিল, তার সামনে খালি জমিতে পুলিশ চৌকি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
নিরাপত্তা নিয়ে প্রশাসনের কড়াকড়ি
জেলা প্রশাসন ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, হিংসায় জড়িত সকল অভিযুক্তকে শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে।
