তেজস ডেলিভারিতে বিলম্ব: বায়ুসেনা প্রধানের উদ্বেগ

🎧 Listen in Audio
0:00

বায়ুসেনা প্রধান তেজসের ডেলিভারিতে বিলম্বের প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এইচএএল নিষেধাজ্ঞাকে কারণ বলে দাবি করেছে এবং মার্চের শেষের মধ্যে ১১টি তেজস বিমান সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

তেজস: ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এ পি সিংহ হিন্দুস্তান এয়ারোনটিক্স লিমিটেড (এইচএএল)-এর প্রতি অবিশ্বাস প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন যে, এইচএএল যুদ্ধবিমান তেজসের ডেলিভারি এবং আপগ্রেডে বিলম্ব কমাতে সক্ষম হচ্ছে না।

তেজসের ডেলিভারিতে বিলম্বের প্রতি অসন্তোষ

ব্যাঙ্গালোরে এয়ারো ইন্ডিয়া ২০২৫-এর সময় এয়ার চিফ মার্শাল এ পি সিংহ বলেছেন যে, এইচএএলকে বায়ুসেনার উদ্বেগ দূর করতে হবে। তিনি বলেছেন, "আমার এইচএএল-এর উপর বিশ্বাস নেই, যা অত্যন্ত ভুল।" বায়ুসেনা প্রধানের এই বক্তব্য এইচএএল-এর কার্যক্রমের উপর গুরুতর প্রশ্ন তুলে ধরে।

বিবাদে জড়িত বায়ুসেনা প্রধানের মন্তব্য

এই প্রথম নয় যখন বায়ুসেনা প্রধান এইচএএল-এর সমালোচনা করেছেন। তবে, এবার তাঁর মন্তব্য বিবাদ সৃষ্টি করেছে। এইচএএল বিলম্বের জন্য ১৯৯৮ সালে ভারতের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাকে দায়ী করেছে। এইচএএল-এর সিএমডি ডি কে সুনীল বলেছেন যে, প্রকল্পের নির্ধারিত সময়সীমা পূরণ করা হবে।

মার্চের শেষের মধ্যে ১১টি তেজস এমকে১এ ডেলিভারির প্রতিশ্রুতি

এইচএএল ঘোষণা করেছে যে, মার্চের শেষের মধ্যে ভারতীয় বায়ুসেনাকে কমপক্ষে ১১টি তেজস-এমকে১এ বিমান সরবরাহ করা হবে। এই ডেলিভারি ৮৩টি তেজস বিমানের চুক্তির অংশ। প্রকল্পের সাথে যুক্ত কর্মকর্তারা বলেছেন যে, এইচএএল ২০১৪ সালের পরে এই প্রকল্পে দ্রুত কাজ শুরু করেছে।

পরমাণু পরীক্ষার পর নিষেধাজ্ঞার প্রভাব

এইচএএল তেজসের ডেলিভারিতে বিলম্বের জন্য ১৯৯৮ সালে ভারতের পরমাণু পরীক্ষার পর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাকে কারণ বলে দাবি করেছে। সিএমডি সুনীল বলেছেন যে, নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রযুক্তিগত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে, তবে এখন বেশিরভাগ সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।

বায়ুসেনার উদ্বেগ দূর করার আশ্বাস

এইচএএল প্রধান বলেছেন যে, বায়ুসেনা প্রধানের উদ্বেগ বোঝা হচ্ছে, কারণ তাঁদের স্কোয়াড্রনের শক্তি কমে যাচ্ছে। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে, তেজসের ডেলিভারি সময়মতো সম্পন্ন করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে।

১.৩ লক্ষ কোটি টাকার বেশি অর্ডার

এইচএএল তাদের অর্ডার বুকে ব্যাপক বৃদ্ধি লক্ষ্য করেছে। ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত কোম্পানির কাছে ১.৩ লক্ষ কোটি টাকার বেশি অর্ডার রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১২টি Su-30MKI বিমান, ২৪০টি AL31FP ইঞ্জিন এবং অনেক হেলিকপ্টার অর্ডার। এছাড়াও, এইচএএল আমেরিকান ফার্ম জিই-এর সাথে জিই-৪১৪ ইঞ্জিনের ৮০% প্রযুক্তি স্থানান্তর চুক্তিতেও কাজ করছে।

Leave a comment