শরদ পাওয়ারের রাজনৈতিক অবসরের ইঙ্গিত

🎧 Listen in Audio
0:00

শরদ পাওয়ার সংসদীয় রাজনীতি থেকে অবসরের ইঙ্গিত দিয়েছেন। বারামতিতে এক জনসভায় তিনি বলেছেন, “আমি আর কোনও নির্বাচনে লড়ব না। নতুন লোকদের আসতে হবে। এতদিন ১৪ বার নির্বাচন লড়েছি, এবার আর এগোনো উচিত নয়।”

Maharashtra: মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে বড় ঘটনা ঘটেছে। এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি আর কোনও নির্বাচনে লড়বেন না। বারামতিতে এক জনসভাকে সম্বোধন করে পাওয়ার বলেছেন, তাঁকে একসময় থামতে হবে এবং এবার নির্বাচন থেকে দূরে থাকা উচিত। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন যে এবার নতুন লোকদের সুযোগ দেওয়া উচিত।

পূর্ব কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং মহারাষ্ট্রের রাজনীতির অভিজ্ঞ নেতা পাওয়ার বলেছেন, “আমি এতদিন ১৪ বার নির্বাচন লড়েছি। আমার ক্ষমতার প্রয়োজন নেই, শুধু সমাজের জন্য কাজ করতে চাই।”

পাওয়ারের স্পষ্ট বার্তা

শরদ পাওয়ার সম্প্রতি এক জনসভায় বলেছেন যে তিনি বর্তমানে ক্ষমতায় নেই, তবে তাঁর রাজ্যসভায় কর্মকাল শেষ হতে আর দেড় বছর বাকি। দেড় বছর পর তাঁকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে রাজনীতিতে আর এগোনো উচিত কিনা। “আমি লোকসভা নির্বাচনে লড়ব না এবং আর কোনও নির্বাচনেও লড়ব না। আমি এতদিন ১৪ বার নির্বাচন লড়েছি এবং আপনারা সবাই প্রতিবারই আমাকে বেছে নিয়েছেন।”

তাই একসময় থামতে হবে এবং নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। আমি এই চিন্তাভাবনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এর অর্থ এই নয় যে আমি সমাজসেবা ছেড়ে দিয়েছি, কিন্তু এখন আমার ক্ষমতার প্রয়োজন নেই। আমি মানুষের সেবা করে যাব।”

অজিত পাওয়ারের কটাক্ষ এবং শরদ পাওয়ারের উত্তর

এই বছরের শুরুতে অজিত পাওয়ার এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের বয়স নিয়ে কটাক্ষ করে বলেছিলেন যে এ বয়সে তাঁকে বাড়িতে থাকা উচিত এবং তিনি কখন অবসর নেবেন তা তিনি নিজেও জানেন না। এই মন্তব্যের পর শরদ পাওয়ার তীব্র জবাব দিয়েছেন।

শরদ পাওয়ার অজিত পাওয়ারের বয়স নিয়ে মন্তব্যের জবাবে বলেছেন, “তিনি বারবার আমার বয়স নিয়ে কথা বলেন। আমার এখনও রাজ্যসভায় কর্মকাল বাকি আছে এবং আমি সেই সময় সমাজসেবা করে যাব।”

২০ নভেম্বর মহারাষ্ট্রে নির্বাচন

মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন ২০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে এবং ২৮৮টি আসনের ভোট গণনা ২৩ নভেম্বর হবে। ২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ১০৫টি আসন, শিবসেনা ৫৬টি আসন এবং কংগ্রেস ৪৪টি আসন জিতেছিল। ২০১৪ সালে বিজেপি ১২২টি, শিবসেনা ৬৩টি এবং কংগ্রেস ৪২টি আসন পেয়েছিল।

 

Leave a comment